নিজস্ব প্রতিনিধিঃ টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে শিশু ধর্ষণের প্রতিবাদ ও ধর্ষকের ফাঁসির দাবিতে পৃথক স্থানে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন হয়েছে। রবিবার (৯ মার্চ) বেলা ১১টার দিকে আজগানা ইউনিয়ন পরিষদের সামনে এবং দুপুরে ঢাকা টাঙ্গাইল মহাসড়কের জামুর্কী ইউনিয়নের পাকুল্যা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এই কর্মসূচি পালন করা হয়।
অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ ও মানববন্ধনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, আইনজীবী, ছাত্রদল, ছাত্রশিবিরসহ এলাকার ছাত্র-জনতা ও যুবসমাজ অংশ নেয়।
মানববন্ধন চলাকালে আজগানাতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন টাঙ্গাইল জেলার আহবায়ক আল আমিন, যুগ্ম আহবায়ক জুবায়েদ ইসলাম নিঝুম, টাঙ্গাইল জেলা ছাত্রশিবিরের বায়তুলমাল বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল আলীম, মির্জাপুর উপজেলা ছাত্রশিবিরের সভাপতি মেরাজ মিয়া, সাধারণ সম্পাদক আরাফাত হোসেন, মির্জাপুর কলেজ ছাত্রশিবিরের সভাপতি মোজাহিদুল ইসলাম, আজগানা ইউনিয়ন ছাত্রদল নেতা রাকিবুল ইসলাম প্রমুখ বক্তৃতা করেন।
অন্যদিকে পাকুল্যা এলাকায় বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন ফাউন্ডেশন কেন্দ্রীয় কমিটির পর্যবেক্ষণ সম্পাদক ব্যারিস্টার আকিব আকবর খান চৌধুরীর নেতৃত্বে ধর্ষকের গ্রেপ্তার ও ফাঁসির দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মানববন্ধন হয়।
এতে জামুর্কী ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের সভাপতি নাফিজ আহমদ তুষার, সাটিয়াচড়া আদর্শ ক্লাবের সাংগঠনিক সম্পাদক হিমেল সরকার, বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন ফাউন্ডেশনের সদস্য মোহাম্মদ শাহীনুর ইসলাম, জামুর্কী ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক মমিনুল ইসলাম মেরাজ, জামুর্কী ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সাব্বির আহমেদ, ছাত্রদল নেতা ইমরান খান রাজা, সম্রাট আহমেদ, অর্ণব ইসলাম অনুজ প্রমুখ বক্তৃতা করেন।
বক্তারা বলেন, সারা দেশের মতো মির্জাপুরও নারীদের জন্য অনিরাপদ হয়ে উঠেছে। শিশু ধর্ষণকারী ফিরোজ মিয়াকে অবিলম্বে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় এনে তাকে ফাঁসিতে ঝুলানোর দাবি জানান তারা।
মানববন্ধন ও সমাবেশের আগে ধর্ষক ফিরোজ মিয়ার ফাঁসির দাবিতে হাঁটুভাঙ্গা ও পাকুল্যা বাজারে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়।
এদিকে শনিবার সন্ধ্যায় ভুক্তভোগী শিশুর মা বাদী হয়ে ধর্ষক ফিরোজ মিয়াকে আসামি করে মির্জাপুর থানায় মামলা করেন। পুলিশ রাতভর ফিরোজ মিয়াকে গ্রেপ্তারে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালায়।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মির্জাপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) রাহাদ জানান, রবিবার সকালে ধর্ষিতা শিশুটিকে টাঙ্গাইল সরকারি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ডাক্তারি পরীক্ষা করানো হয়েছে।
ডাক্তারি পরীক্ষার পর শিশুটির জবানবন্দি রেকর্ডের জন্য টাঙ্গাইল সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে নেওয়া হয়। সেখানে আদালতের বিচারক রুমি খাতুন শিশুটির জবানবন্দি লিপিবদ্ধ করেন।
মির্জাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মোশারফ হোসেন বলেন, শিশু ধর্ষণকারীকে গ্রেপ্তারে পুলিশের একাধিক দল কাজ করছে। অচিরেই তাকে আইনের আওতায় আনা সম্ভব হবে বলে তিনি জানান।