নিজস্ব প্রতিনিধিঃ টাঙ্গাইলের কালিহাতীর দশকিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি নুরুল ইসলাম সরকারের বিরুদ্ধে জামায়াত কর্মীর বাড়ি দখল ও নারীসহ গৃহকর্তাকে তুলে নিয়ে প্রাণনাশের হুমকি প্রদানের অভিযোগ ওঠেছে।
সরেজমিনে জানা যায়, ১১ মার্চ মঙ্গলবার দুপুরে দশকিয়া ইউনিয়নের যোগীপাল গ্রামে খন্দকার রুহুল আমিনের পক্ষে ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি নুরুল ইসলাম সরকার ৫০-৬০ জনের দলবল নিয়ে জামায়াত কর্মী হাফেজ শহিদুল ইসলামের বাড়িতে ২শতাংশ জমি দাবি করে একতরফাভাবে কোন পরিমাপ ছাড়াই খুঁটি স্থাপন করে বাড়ি দখলসহ অপহরণ ও প্রাণনাশের হুমকি প্রদান করেন। মৃত মোতালেব হোসেনের ছেলে জামায়াত কর্মী হাফেজ শহিদুল ইসলামের বাড়িতে ২শতাংশ জমি দাবি করে আসছেন মৃত খন্দকার আব্দুল বাসেতের ছেলে প্রতিবেশী খন্দকার রুহুল আমিন। শহিদুল ইসলাম বা তাঁর পরিবারকে না জানিয়ে ওই দিন সকালে ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি নুরুল ইসলাম সরকার ৫০-৬০ জনের দলবল নিয়ে রুহুল আমিনের বাড়িতে একটি বৈঠক করেন। বৈঠকে শুধু ৫নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য আব্দুস সালামকে ডেকে উপস্থিত করা হয়। বৈঠকে জমির কোনও প্রকার দলিল, রেকর্ড পর্যালোচনা এবং সার্ভেয়ার ও পরিমাপ ছাড়াই জোরপূর্বক অবৈধভাবে খুঁটি স্থাপন করে দখল করা হয়। এসময় তাঁরা শাবল, হামার দিয়ে বাড়ির টিনের বেড়া ভাঙচুর করে খুলে ফেলে ও দেশীয় ধারালো অস্ত্র নিয়ে বাড়ির নারীসহ লোকজনদের ধাওয়া ও অপহরণসহ প্রাণনাশের হুমকি প্রদান করে।
হাফেজ শহিদুল ইসলাম এ বিষয়ে বলেন, ১৯৭৮ সালের দলিল, রেকর্ডমূলে ৫০ বছর যাবত আমরা পঞ্চাশ শতাংশ জমি মালিকানা হিসেবে বৈধভাবে ভোগ-দখল কওে আসছি। প্রতিবেশী রুহুল আমিন ১৯৮৪ সালের দলিলমূলে ২ শতাংশ জমি দাবি করছেন। সেক্ষেত্রে উভয়পক্ষের দলিল-রেকর্ড প্রমাণাদি পর্যালোচনা করে জমি পরিমাপের দিকে এগুতে পারে। কোনও প্রকার কাগজ পত্রাদি পর্যালোচনা ছাড়াই আমাদেরকে না জানিয়ে দলবল নিয়ে পরিমাপ ছাড়াই আদালতের স্থিতাদেশ অমাণ্য করে অবৈধভাবে খুঁটি স্থাপন করে গেছেন। পরিবারের সকলকে অপহরণসহ প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছেন। প্রশাসনের নিকট আমার ও পরিবারের সকলের নিরাপত্তা বিধান এবং বিষয়টির ন্যায়সঙ্গত সমাধান আশা করছি।
দশকিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি নুরুল ইসলাম সরকার এবিষয়ে বলেন, আদালতের স্থিতাদেশ অমান্য করে শহিদুল ইসলাম কাজ করছিলেন। আমরা আদালতের আদেশ বাস্তবায়নে কাজ বন্ধ করে দিয়েছি ও নতুন লাগানো বেড়া খুলে দিয়েছি। আদালতের আদেশ বাস্তবায়ন করার বৈধতা বা পুলিশের অনুমতি নেয়ার প্রশ্নে ওনি বলেন এখানে অনুমতি নেয়ার কী আছে। আশপাশের এলাকা ও গ্রামের লোকজন মিলে আমরা এটা করেছি।
কালিহাতী উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি মজনু মিয়া ও সাধারন সম্পাদক রফিকুল ইসলাম এ বিষয়ে বলেন খোঁজ-খবর নিয়ে এ বিষয়ে তাঁকে সতর্ক করা হবে।