মধুপুরের প্রথম অনলাইন সংবাদপত্র

শনিবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৫, ০৪:২০ পূর্বাহ্ন

শিরোনাম :

ফরিদপুরে বাস উল্টে বাবা-ছেলেসহ নিহত ৭, আহত ৩২

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশের সময় : মঙ্গলবার, ৮ এপ্রিল, ২০২৫
  • ৩৪ বার পড়া হয়েছে

ফরিদপুরে বাস উল্টে খাদে পড়ে বাবা ও ছেলেসহ সাতজন নিহত হয়েছেন। এ সড়ক দুর্ঘটনায় ৩২ জন আহত হয়েছেন। 

মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) বেলা ১১টার দিকে ফরিদপুর সদরের গেরদা ইউনিয়নের বাখুন্ডা এলাকায় জোবায়দা করিম জুট মিলের উল্টো পাশে শরিফ জুট মিলের সামনে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

দুর্ঘটনাকবলিত ফারাবী পরিবহনের ওই বাসটি গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর থেকে ফরিদপুর আসছিল। বাসটি দ্রুতগতিতে ওভারটেক করতে গিয়ে সড়কের পাশে একটি পিলারে ধাক্কা খেয়ে সড়কের পাশে খাদে পড়ে গেলে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ দুর্ঘটনায় বাবা-ছেলেসহ এখন পর্যন্ত ৭ জন নিহত ও ৩২ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

নিহতরা হলেন- ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলার কোদালিয়া শহীদনগর ইউনিয়নের শেখরকান্দি গ্রামের বাসিন্দা বাবা জোয়ার সরদার (৬৫) এবং ছেলে ইমান সরদার (৩৫), নগরকান্দার কাঠিয়া বড়গ্রামের বাসিন্দা রাজীব খানের স্ত্রী দীপা খান (৩৪), ফরিদপুর সদরের চর চাঁদপুর গ্রামের বলরাম সরকারের স্ত্রী ভারতি সরকার (৪০), চরভদ্রাসন উপজেলার গাজীটেক গ্রামের বাসিন্দা খালেক চৌধুরীর ছেলে আলম চৌধুরী (৪০), ফরিদপুর শহরের গোয়ালচামট মহল্লার বাসিন্দা লতিফ ব্যাপারির স্ত্রী ফজিরণ নেসা এবং  লালমনিরহাটের হাতিবান্ধা উপজেলার পূর্ব ফকিরপাড়া গ্রামের জহিরউদ্দিনের ছেলে আজিবরউদ্দিন (৪৩)।

দুর্ঘটনাকবলিত বাসের আহত কয়েকজন যাত্রী ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তারা বলেন, বাসটি তালমার মোড় পার হয়ে মহিলা রোড এলাকা থেকেই বেপরোয়া গতিতে চলতে শুরু করে। যাত্রীরা বার বার বলার পরও বাসচালক কারো কথা শোনেনি।

ফরিদপুর দমকল বাহিনীর জ্যেষ্ঠ স্টেশন মাস্টার নজরুল ইসলাম বলেন, বাসটি পেছনের দিক থেকে দ্রুত গতিতে আরেকটি বাসকে ওভারটেক করতে গিয়ে সড়কের পাশে একটি পিলারে ধাক্কা খেয়ে রাস্তার পাশের খাদে পড়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

ফরিদপুর সদরের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ইশরাত জাহান বলেন, আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা জানিয়েছে বাসের গতি ৮০ কিলোমিটারের ঊর্ধ্বে ছিল। চালকের বেপরোয়া গতির কারণে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। এ ব্যাপারে জেলা বাস ও মিনিবাস মালিক সমিতির সঙ্গে সভা করা হবে। এভাবে অতিরিক্ত গতির কারণে দুর্ঘটনা ও মৃত্যু মেনে নেওয়া যায় না।

ফরিদপুর হাইওয়ে পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার মো. মারুফ হোসেন বলেন, গাড়িটি দ্রুত গতির ছিল একই সঙ্গে আরেকটি দ্রুত কোনো যানকে ওভারটেকিং করতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।

ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক মো. কামরুল হাসান মোল্লা বলেন, নিহত প্রত্যেককে প্রশাসনের উদ্যোগে তাৎক্ষণিকভাবে ২৫ হাজার করে টাকা দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া পরবর্তিতে বিআরটিএর মাধ্যমে এককালীন টাকা দেওয়া হবে। এ ঘটনায় অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে আহ্বায়ক করে পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই কমিটি দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধান করবে। পরে তাদের সুপারিশ অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সংবাদ টি ভালো লাগলে শেয়ার করুন

এ বিভাগের আরো সংবাদ

The Trend (Online Shop)

©২০২৫ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি বা ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা আইনত দণ্ডনীয়)
Design by: POPULAR HOST BD
themesba-lates1749691102