একসময় শাল-গজারি বনের অলংকার ছিল শটি ফুল বা বুনো হলুদ। শত শত শটি ফুল শালবনে মুগ্ধতা ছড়াত। শালবনের পাশ দিয়ে গেলেই এ ফুলের সৌন্দর্যে মন ভরে যেত। কালের পরিক্রমায় এই ফুল ও গাছটি এখন তেমন আর চোখে পড়ে না।
একসময় শাল-গজারি বনের অলংকার ছিল শটি ফুল বা বুনো হলুদ। শত শত শটি ফুল শালবনে মুগ্ধতা ছড়াত। শালবনের পাশ দিয়ে গেলেই এ ফুলের সৌন্দর্যে মন ভরে যেত। কালের পরিক্রমায় এই ফুল ও গাছটি এখন তেমন আর চোখে পড়ে না।
একসময় পথের ধারে প্রাকৃতিকভাবে এই ফুল ফুটে থাকতে দেখা যেত।
বনের বাসিন্দা বৃক্ষপ্রেমী শাহজাহান কবিরাজ বলেন, সামাজিক বনায়নের ফলে প্রাকৃতিক বন ধ্বংস হচ্ছে। না চেনার কারণে আমরা অনেকেই ঝোপঝাড় নিধনের নামে অনেক মূল্যবান বৃক্ষ কেটে ধ্বংস করি। পাহাড়ে নানামুখী ফসলের আবাদ বৃদ্ধি পাওয়ায় নানা ঔষধি গুণ সমৃদ্ধ দৃষ্টিনন্দন শটি ফুল গাছ হারিয়ে যাচ্ছে।
পুষ্টি বিজ্ঞানীদের মতে, শটি জয়েন্টের প্রদাহ ও ব্যথা দূর করে, শরীর থেকে টক্সিক অপসারণ করে, ব্যাকটেরিয়া এবং ছত্রাক দ্বারা সৃষ্ট বিভিন্ন চর্মরোগের জন্য এটি কার্যকর। অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল এবং অ্যান্টি-ফাঙ্গাল হিসেবেও কাজ করে। শটি গাছের কন্দ শুকিয়ে পরিষ্কার করে গুঁড়ো করে এক ধরনের ময়দার মতো খাদ্য তৈরি করা হয়, যা আঞ্চলিকভাবে পালো নামে পরিচিত। শটির তৈরি এই পালো সেবনে পাকস্থলির স্বাস্থ্য ও হজম শক্তি ঠিক থাকে। এছাড়া ডায়রিয়া ও হজমের সমস্যাগুলো নিরাময় করে। শটি দিয়ে তৈরি বার্লি শিশুদের জন্য একটি আদর্শ খাবার।