টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে উপজেলা ও পৌর মুক্তিযোদ্ধা সংসদের পরিচিতি এবং মতবিনিময় সভা মুক্তিযোদ্ধা ভবনের হলরুমে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার (১ নভেম্বর) বিকেল ৩টার দিকে মির্জাপুর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের আহ্বায়ক মো: তাজ উদ্দিন সিকদারের সভাপতিত্বে ও মীর ফজলুল হকের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কেন্দ্রীয় কমান্ডের সদস্য সচিব মো: সাদেক আহমেদ খান।
অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের সদস্য নুরুল ইসলাম, টাঙ্গাইল জেলা ইউনিটের আহ্বায়ক আব্দুল খালেক মন্ডল, সদস্য সচিব শেখ মো: হাবিবুর রহামন হাবিব প্রমুখ।
বীর মুক্তিযোদ্ধা সাদেক আহমেদ খান বলেন, ‘সারাদেশে মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ৬৩৪টি ভবন আছে। যার প্রত্যেকটা ভবনে আয়ের উৎস আছে। কিন্তু এই সম্পদ দীর্ঘদিন লুটেরাদের হাতে পড়েছিল। তাদের হাত থেকে মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিল অবমুক্ত করতে উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম বীর প্রতীকসহ আমাদের ১০ মাস সময় লেগেছে। বিভিন্ন জেলায় চিঠি দেয়ার পরও অনেকে এখন পর্যন্ত কমপ্লেক্সের চাবি বুঝিয়ে দেয়নি। যে সমস্ত ডিসিরা ভালো তারা সহজেই চাবি হস্তান্তর করেছে। আর যারা চিহ্নিত অপরাধী, যারা লুটপাট করে গত ১৭ বছর খেয়েছে, কোনো হিসাব দিতে পারে না তারাই সব বুঝিয়ে দিতে বিলম্ব করছে।’
কমপ্লেক্স না বুঝিয়ে দেয়া ইউএনওদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘আপনার অনেক খেয়েছেন। আর জিব বড় করবেন না। মুক্তিযোদ্ধাদের সম্পদ বুঝিয়ে দিন।’
সাদেক আহমেদ খান বলেন, ‘মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসা সহায়তার জন্য আগে যেখানে চিকিৎসার জন্য ২ লাখ টাকা দেয়া হতো এখন সেখানে ৫ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হচ্ছে।’