বাসাইলে ধান ক্ষেতের পোকা দমনে আলোক ফাঁদ

বাসাইল প্রতিনিধিঃ টাঙ্গাইলের বাসাইলে চলতি বছরে উপজেলায় ৬টি ইউনিয়ন ও এক পৌরসভায় ১১হাজার ১শত ৫০ হেক্টর জমিতে বোরো আমন ধান চাষ করা হয়েছে। গোটা উপজেলাকে ১৯টি ব্লকে বিভক্ত করে আলোক ফাঁদ ব্যবহারের মাধ্যমে বোরো ধানের ক্ষতিকর পোকামাকড় দমনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
গত ফেব্রুয়ারি  থেকে পর্যায়ক্রমে ১৯ টি ব্লকে ‘আলোক ফাঁদ’ কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় রবিবার (৬ মার্চ) সন্ধায় ১৯ টি ব্লকে একযোগে আলোক ফাঁদ কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। এর মাধ্যমে ক্ষতিকর শত্রু পোকা ও উপকারী বন্ধু পোকাও নির্ণয় করা হচ্ছে।
এ ছাড়া উপজেলাজুড়ে পাড়া-মহল্লায় ভিডিও প্রদর্শনী মাধ্যমে ক্ষতিকর পোকা মাকড় দমনে আলোক ফাঁদের কার্যকারিতা সম্পর্কে কৃষকদের সচেতন করার কাজ চালানো হচ্ছে। বোরো মৌসুমে সচেতনতার অভাবে অনেক কৃষক জমিতে ক্ষতিকর পোকা আক্রমণ করার আগেই কীটনাশক প্রয়োগ করে থাকেন। আলোক ফাঁদ ব্যবহার করে ক্ষতিকর পোকার উপস্থিতি নির্ণয়ের পর কীটনাশক প্রয়োগ করতে এই প্রযুক্তি ব্যবহারে কৃষকদের উৎসাহ দেওয়া হচ্ছে।
এতে কৃষকের অপ্রয়োজনীয় কীটনাশক ব্যবহার কমছে, আর ফসল থাকছে অনেকটা বিষমুক্ত।
উপজেলার কাশিল ইউনিয়নের দাপনাজোর ব্লকের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান  জানান, ধানক্ষেতে কীটনাশক ব্যবহার না করে আলোর ফাঁদ পেতে ক্ষতিকর পোকা দমন করা হচ্ছে। আলোক ফাঁদে উপকারী পোকার মধ্যে ড্যামসেল ফ্লাই ও মাকড়সা এবং ক্ষতিকর পোকার মধ্যে মাজরা পোকা ও সবুজ পাতা ফড়িংয়ের উপস্থিতি পাওয়া যায়। এর মাধ্যমে ধানের উপকারী পোকা সংরক্ষণ এবং ক্ষতিকর পোকা দমনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।
এ ব্যাপারে বাসাইল  উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নাজনীন আক্তার বলেন, ব্লাষ্ট ও কারেন্ট পোকা প্রতিরোধের জন্য কৃষকদের মাঝে লিফলেট, প্রেসক্রিপশন বিতরণ করা হচ্ছে। হাটে-বাজারে ভিডিও চিত্রপ্রদর্শন, উঠান বৈঠক, দলীয় আলোচনাসভার মাধ্যমে আলোক ফাঁদের উপকারিতা অবহিত করা হচ্ছে।আলোক ফাঁদ প্রযুক্তি একটি পরিবেশবান্ধব ও অর্থ সাশ্রয়ী পদ্ধতি। এতে চাষিরা নিজেরাই ক্ষতিকর ও উপকারী পোকা শনাক্ত করে ক্ষতিকর পোকামাকড় দমনের ব্যবস্থা করতে সক্ষম হবেন বলেও জানান তিনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     এ বিভাগের আরো সংবাদ
Share via
Copy link
Powered by Social Snap