সখীপুরের বিভিন্ন বাজারে প্রায় ডজন খানেক লোক মাছ কাটার পেশায় জড়িত

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ মানুষের জীবন বড়ই বিচিত্র। বিচিত্র জীবনে মানুষকে বহু পেশায় জীবন চালাতে দেখেছি কিন্তু এমন একটি পেশার নাম আজকে বলতে যাচ্ছি যেটা গতানুগতিক ধারার পেশার মধ্যে পড়ে না। তবুও এই পেশায় জীবিকা নির্বাহ করে চলছে সংসার। আর সে পেশা হলো ‘মাছ কাটা’।

বেঁচে থাকার তাগিদে কতো রকমের পেশাই না বেছে নেন মানুষ। প্রতিটি বাজারের মাছ হাটে গেলে চোখে পড়ে এক ভিন্ন পেশার মানুষের। সেই মানুষগুলো মাছ কেটে দিচ্ছেন। বিনিময়ে কিছু টাকা নেন তারা। তাই দিয়েই এই ভিন্ন পেশার সঙ্গে যুক্তদের সংসার চলে যায় স্বানন্দে। দিনের পর দিন মাছ কেটে নেয়ার চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় তাদের আয়ও বাড়ছে।

টাঙ্গাইলের সখীপুরে বিভিন্ন বাজারে প্রায় ডজন খানেক লোক মাছ কাটার পেশায় জড়িত। সেই পেশার আয় থেকেই সংসার চলে তাদের।
পৌরসভার জেলখানা মোড় এলাকার মাছ ব্যবসায়ী নব্বেছ আলী বলেন, আগে মানুষ বড় মাছ কিনে ঝুঁলিয়ে নিয়ে বাড়ি যেতে পছন্দ করতেন। আর এখন বাড়িতে ঝাঁমেলা এড়িয়ে যেতে প্রায় সবাই বাজার থেকে মাছ কেটে নিয়ে যান। শুরুতে তারাই মাছ কেটে দিতেন। এখন চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় অনেকেই বাজারে বটি নিয়ে অপেক্ষা করেন মাছ কেটে দেয়ার জন্য।
পৌরসভার কাচা বাজারে মাছ কাটা পেশায় জড়িত রবিউল ইসলাম (২২) বলেন, আমার জন্মস্থান সিলেট ওসমানী নগর উপজেলার পশ্চিম তিলাপাড়া বুড়ুঙ্গা গ্রামে। আমার বাবা শাহীন আহমেদ দীর্ঘদিন টাঙ্গাইলের পার্কির বাজারে মাছ কাটার কাজ করতো। বাবা অসুস্থ হওয়ার পর আমরা ৩ বছর আগে সখীপুরে এসে মাছ কাটার কাজ শুরু করি।
বড় মাছ ২০ টাকা কেজি, ছোট মাছ ৩০ টাকা কেজি হিসাবে কেটে দিচ্ছি। তবে কখনো কখনো কমবেশি হয়। কেউ কেউ খুশি হয়ে বেশি টাকাও দেয়, কেউবা আবার কম দিয়ে যান। খরচ বাদে দিনে ৬০০ থেকে ৮০০ টাকার মতো থাকে, এতেই কোনো রকমে সংসার চলে যাচ্ছে। পরিবারে স্ত্রী ও অসুস্থ বাবা মা রয়েছে। বাবা মায়ের ওষুধ কিনতে প্রতিমাসে অনেক টাকা খরচ হয়। আল্লাহর রহমতে পরিবারের সবাইকে নিয়ে ভালো আছি।
সখীপুর বাজার বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, বড় মাছ বাসায় নিয়ে কাটাকাটি কষ্টকর। ওদের কাছে দিলে বিভিন্ন সাইজে সুন্দর করে মাছ কেটে দেয়। ওদের কাটতে সময়ও কম লাগে কাজটাও হয় বেশ পরিপাটি। তাই আমি ওদের কাছ থেকেই মাছ কেটে বাসায় নিয়ে যাই

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     এ বিভাগের আরো সংবাদ
Share via
Copy link
Powered by Social Snap