সখিপুর প্রতিনিধিঃ টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলার নলুয়া বাছেত খান উচ্চবিদ্যালয়ের ৪তলা ভবন নির্মাণ কাজে ধীর গতির অভিযোগ ওঠেছে। ভবনটির নির্মাণ কাজ দেড় বছরের মধ্যে শেষ করার কথা থাকলেও কাজ পাওয়ার তিন বছরেও তা শেষ করতে পারেনি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। বিকল্প ভবন না থাকায় ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা শ্রেণিকক্ষ সঙ্কটে পড়েছে। এতে শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত ২০১৮ সালের অক্টোবর মাসে ই-টেন্ডারের মাধ্যমে বাছেত খান উচ্চ বিদ্যালয়ের ৪তলা ভবন নির্মাণ কাজের দায়িত্ব পায় মেসার্স শাকিল এন্টারপ্রাইজ নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। যার ব্যয় ধরা হয় ২ কোটি ৭৩ লাখ ৯০ হাজার ৬৫১ টাকা। কাজটি ৫৪৮ দিনের মধ্যে সম্পন্ন করার শর্ত দেওয়া হয়। ঠিকাদার ২০১৯ সালের শেষের দিকে ভবনের নির্মাণ কাজ শুরু করে। কিন্তু কাজ শুরুর দুই বছর পেরিয়ে গেলেও ভবনটির সিংহভাগ কাজ বাকী রয়ে গেছে।
সম্প্রতি ওই বিদ্যালয়ে সরেজমিনে দেখা যায়, নির্মাণাধীন ৪তলা ভবনের কেবলমাত্র ছাঁদ ঢালাইয়ের কাজ শেষ করা হয়েছে। বাকী কাজ কবে নাগাদ শেষ করা হবে এ নিয়ে বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদ ও শিক্ষকরা কেউ কিছুই জানেন না।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. তোফাজ্জল হোসেন বলেন, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ২০১৯ সালে কাজটি শুরু করলেও করোনার অজুহাতে মাঝে মাঝেই কাজটি বন্ধ রাখে। ফলে বর্তমানে বিদ্যালয় খোলে দেওয়ায় আমরা চরমভাবে শ্রেণিকক্ষ সঙ্কটে পড়েছি।
বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও যাদবপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান একেএম আতিকুর রহমান আতোয়ার বলেন, ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে বারবার তাগাদা দেওয়ার পরও নির্মাণ কাজটি খুব ধীরগতিতে হচ্ছে, এতে বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষ সংকটে হাজারো শিক্ষার্থীর পাঠদান কার্যক্রম ব্যহত হচ্ছে।
এ বিষয়ে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স শাকিল এন্টারপ্রাইজের স্বত্ত্বাধিকারী শাকিল আহমেদ মোবাইল ফোনে বলেন, করোনা পরিস্থিতি ও ফান্ডিং সমস্যার কারণে কাজটি যথাসময়ে শেষ করা সম্ভব হয়নি। দ্রুতই অসমাপ্ত কাজ শেষ করা হবে বলেও তিনি আশ্বস্ত করেন।
সখীপুর উপজেলা শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের উপসহকারী প্রকৌশলী নুরুল ইসলাম জানান, রড, সিমেন্ট ও বৈদ্যুতিক সরঞ্জামের মূল্য বৃদ্ধি ও ফান্ডিং সমস্যার কারণে ঠিকাদারদের কাজে ধীরগতি হচ্ছে। তবে আমরা কাজটি দ্রুত সম্পন্ন করতে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে তাগাদা দিয়ে যাচ্ছি।
Leave a Reply