মধুপুরে সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে বন দস্যুর হাতে হামলার শিকার দুই সাংবাদিক

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ মধুপুর বনের গাছ চুরি খবর সংগ্রহ করতে গিয়ে গতকাল বুধবার দুপুরে মধুপুরের দুই সাংবাদিক বন এলাকার একাধিক মামলার আসামী চিহ্নিত বনদস্যুদের হামলার শিকারের ঘটনা ঘটেছে। বনদস্যুরা সাংবাদিকদের কাছে থাকা একটি ডিজিটাল ক্যামেরা ও দুটি মোবাইল ছিনতাই করেছে। এই ঘটনায় সাংবাদিক মহলে নিন্দা ও প্রতিবাদের ঝড় বইছে।
ঘটনার সাথে জড়িত চিহ্নিত বন দস্যু এবং সহযোগী অপরাধীদের দ্রত গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী সাংবাদিকদের।
জানা যায়, টাঙ্গাইল বন বিভাগের দোখলা রেঞ্জের হরিণধরা এলাকায় দীর্ঘ দিন যাবত চিহ্নিত বনদস্যু একাধিক বন মামলার আসামীর একটি চক্র নির্বিচারে সামাজিক বনায়নের গাছ এবং প্রাকৃতিক বনের বিভিন্ন ধরনের কেটে সাবাড় করে যাচ্ছে।
এ খবর পেয়ে আকবর হোসেন ও মেহেদী হাসান বকুল নামের মধুপুরের দুই গণমাধ্যম কর্মী সংবাদ সংগ্রহের জন্য সরেজমিনে হরিণধরা এলাকায় গিয়ে সামাজিক বনায়নের চুরি হওয়া গাছের ছবি ও তথ্য সংগ্রহ করে।
হরিণধরা এলাকার সামাজিক বনায়নের অংশিদার রজব আলী (৭৬) এর প্লট থেকে ২০-৩০টি গাছ স্থানীয় একাধিক বন মামলার আসামী বনদস্যু একই এলাকার মোহাম্মদ আলীর ছেলে দুলাল, আলেমের ছেলে সেলিম, সোহেল, হাছান, হোসেন গাছ চুরি করে। শুধু রজব আলীই নয় আব্দুর রাজ্জাক, রহমত, মহিরসহ স্থানীয়দের সামাজিক বনায়নের প্লটসহ প্রাকৃতিক বনের শাল গজারি গাছ থেকে ১৫-২০ জনের গাছ চুরের সিন্ডিকেট বনদস্যুরা প্রকাশ্যে দিবালোকে প্রতিনিয়ত গাছ চুরি করে ওই এলাকায় রাজত্ব কায়েম করেছে।
চোরের এ সিন্ডিকেট গাছ চুরি করে অরণখোলা ইউনিয়নের ভুটিয়া গ্রামের একাধিক বন মামলার আসামী গাছ চোরের হোতা অবৈধ কাঠ ব্যবসায়ি আব্দুল বাছেদ ওরফে ব্লেড বাছেদের নিকট বিক্রি করে।
ব্লেড বাছেদ হচ্ছে এলাকার নামকরা বনদস্যু কয়েক মাস আগেও ভুটিয়া গ্রামে একটি আগর বাগান উজাড় করে! আশ্চর্যের বিষয় এত বড় আগর বাগান দোখলা রেঞ্জ অফিসের সাথেই ছিল এবং সেই বাগান উজাড় করলেও বন কর্মকর্তারা কোন ব্যবস্থা নেয়নি!
পরবর্তীতে এই বিষয়ে সাংবাদিকরা খোঁজখবর নিলে একটি মামলা দিতে বাধ্য হয়।
ব্লেড বাছেদ শুধু বনদস্যুইনা সে একজন কমিউনিটি ফরেস্ট ওয়ার্কার বিএফ ডব্লিউও বটে। সেই সুযোগেই সে দুইদিক থেকেই সুবিধা নিয়ে থাকে এইরকম সুবিধা নেওয়ার কারণেই তার নাম হয়েছে ব্লেড বাছেদ।
সে প্রতিনিয়ত কিছু অসাধু বন কর্মকর্তার সাথে যোগসাজেসে গাছ চুরি এবং বন উজার করে জমি বানানোর কাজেও ব্যস্ত থাকে।
ব্লেড বাছেদ কমিনিউটি ফরেস্ট ওয়ার্কার। ব্লেড বাছেদ কমিউনিটি ফরেস্ট ওয়ার্কার সি এফ ডব্লিউ অন্তরালে অসাধু বন কর্মকর্তা এবং বনদস্যূদের সাথে একই তালে কাজ করার কারণেই তাকে বলা হয় ব্লেড বাছেদ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     এ বিভাগের আরো সংবাদ
Share via
Copy link
Powered by Social Snap