নিজস্ব প্রতিনিধিঃ টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে অসচ্ছল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নামে বীর নিবাস তালিকা প্রণয়নে নানা অনিয়ম ও স্বজনপ্রীতির অভিযোগ উঠেছে। তালিকায় রাজাকারসহ একাধিক অমুক্তিযোদ্ধা স্থান পেয়েছে।
জানা যায়, সরকার সারা দেশে অসচ্ছ প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা বা তার উত্তরাধিকারীদের জন্য বীর নিবাস প্রকল্প (২য় পর্যায়) হাতে নেয়। এতে ঘাটাইল উপজেলা কমিটির সুপারিশে সরকারের মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় ৭১ জন বীর মুক্তিযোদ্ধার নামে বরাদ্দ দেয়।
এ ব্যাপারে স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা ও যুদ্ধকালীন সহকারী কমান্ডার মকবুল হোসেন জানান, ঘর বরাদ্দের তালিকায় তার নামও রয়েছে। একই সঙ্গে মফিজ উদ্দিন নামে ৬৫ নম্বরে যে ব্যক্তির নাম রয়েছে তিনি একজন রাজাকার। এটা সবারই জানা। এছাড়াও তালিকায় বেশ কয়েকজন অমুক্তিযোদ্ধার নাম রয়েছে।
মকবুল হোসেন আরও জানান, আমি একজন প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে রাজাকারদের সঙ্গে কোনো ঘর নিতে পারি না।
তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, বীর নিবাসের এ তালিকা থেকে আমার নাম বাদ দেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। এ বিষয়ে তিনি স্থানীয় ইউএনও কার্যালয়ে অভিযোগ করে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে অনুলিপি পাঠিয়েছেন বলেও জানান।
জানতে চাইলে ইউএনও মুনিয়া চৌধুরী বলেন, আমি কোনো অভিযোগ পাইনি। এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, একজন ব্যক্তি মুক্তিযোদ্ধা ভাতা পাচ্ছেন, গেজেটে নাম আছে, তাকে তো আমি রাজাকার বলতে পারি না।
তালিকায় রাজাকারসহ অমুক্তিযোদ্ধার নাম রয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে বীর নিবাস তালিকা প্রণয়ন কমিটির সদস্য ও উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সাবেক কমান্ডার তোফাজ্জল হোসেন বলেন, কথাটি সত্য। তবে তালিকাটি করেছেন সাবেক ইউএনও সোহাগ হোসেন। আমরা ওই সময় প্রতিবাদ করেছিলাম। কিন্তু কোনো কাজ হয়নি। ইউএনও আমাদের বলেন, তিনি তো (রাজাকার) ভাতা পাচ্ছেন। তাকে বাদ দেবেন কীভাবে।
Leave a Reply