ফাইল ছবি

ঘাটাইলে প্রধানমন্ত্রীর দেয়া উপহারের ঘরে ফাটল

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী এবং স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে মুজিববর্ষ ঘোষণা করে সরকার। মুজিববর্ষে কেউ গৃহহীন থাকবে না- এ লক্ষ্য বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে আশ্রায়ন প্রকল্পের আওতায় সারাদেশের মতো টাঙ্গাইলের ঘাটাইলেও ভূমিহীন-গৃহহীন পরিবারকে প্রধানমন্ত্রীর উপহার ঘর দেয়া হয়েছে। উপহার ঘরগুলোর বেহাল দশায় পরিণত হয়েছে। এছাড়াও পানি ও পয়ঃনিস্কাশন সমস্যাসহ রয়েছে নানাবিধ সমস্যা।

ফলে ঘরগুলোতে দিন দিন বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়ছে। ঘরগুলো দেখা দিয়েছে বড় বড় ফাটল। খসে পড়ছে পলেস্তার। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে অসহায় পরিবারগুলো আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন। নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের কারণেই এমন দশা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী পরিবারগুলো। এদিকে, সংবাদকর্মীদের খবরে তড়িঘড়ি করে ফাটল মোছানোর কাজে হাত দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। তবে, এমন কাজে নানা আলোচনা-সমালোচনা সৃষ্টি হয়েছে।

উপজেলার গৌরিশ্বর এলাকায় আশ্রয়ন প্রকল্পের ৪৪টি ঘর রয়েছে। ঘর নির্মাণের কিছুদিন না যেতেই বেশির ভাগ ঘরগুলোতে দেখা দেয় ফাটল। পরে সে সময় তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী অফিসার আশ্রয়ন কেন্দ্র পরিদর্শন করে তা মেরামতের ব্যবস্থা করেন। কিন্তু কিছুদিন পরেই বর্তমানে আবারও ঘরগুলোতে বড় বড় ফাটলের সৃষ্টি হয়েছে। খসে পড়ছে ঘরের পলেস্তা।

জানা যায়, উপজেলার মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে আশ্রয়ণ প্রকল্পের অধীনে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় পর্যায়ে ২৭৬ টি ঘর বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। তারমধ্যে প্রথম ও দ্বিতীয় পর্যায়ে গৌরিশ্বর এলাকায় ভূমিহীনদের মাঝে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ৪৪ টি ঘর। বর্তমানে বেশিরভাগ ঘরে বড় বড় ফাটল দেখা দিয়েছে। খসে পড়ছে পলেস্তার। ঝড় আসলে আতঙ্কে দিন কাটে বাসিন্দাদের। এতে করে যেকোন সময় ঘটতে পারে অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনা।

উপজেলার গৌরিশ্বর আশ্রয় প্রকল্প কেন্দ্রের ১ নম্বর ঘরের মাজেদা, ৫ নম্বর ঘরের পারভিন, ৬ নম্বর ঘরের শিল্পী ও ১১ নম্বর ঘরের বাসিন্দা লিজাসহ আরও অনেকে বলেন, মুজিব বর্ষে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর পেয়ে আমরা অনেক খুশি। কিন্তু ঘর নির্মাণে অনিয়ম ও নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করায় বড় বড় ফাটল দেখা দিয়েছে। পলেস্তার খসে খসে পড়ছে। ঝড়ের সময় শিশু সন্তান নিয়ে আতঙ্কে দিন পার করতে হচ্ছে।

তারা আরও বলেন, যে খুশিতে ঘরে উঠছিলাম তা আতঙ্কে রূপ নিয়েছে। মাঝে মধ্যে ফাটল মেরামত না করে স্থায়ী মেরামত ও ঘর পুনঃনির্মাণের দাবি জানিয়েছেন তারা। আশ্রয়ন প্রকল্পের রাস্তার সমস্যা। আশেপাশে কোন মসজিদ ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নেই। অনেক দুরবর্তি স্থানে স্কুলে ছেলে-মেয়ে দের নিয়ে যেত হয়। এতে আমাদের সংসারে কাজের ক্ষতি হয়।

এ বিষয়ে ঘাটাইল উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা এনামুল হক বলেন, মাটির কারণে কয়েকটি ঘরে সমস্যা দেখা দিয়েছে। ঠিকাদারদের বলে তা মেরামত করে দেয়া হবে। ঘর নির্মাণে আগে মাটি পরীক্ষা করে নেয়া হয়ে ছিল কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি কোন সদুত্তর দিতে পারেননি এই কর্মকর্তা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     এ বিভাগের আরো সংবাদ
Share via
Copy link
Powered by Social Snap