ভূঞাপুরে ৪০ টাকার তরমুজ মাত্র ২০ টাকা পিচ!

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ ৪০ টাকার তরমুজ ভাই মাত্র ২০ টাকা পিচ! যেটা মন চায়, সেটাই নিন। একদাম, এক দর। ফুরিয়ে গেলে আর পাবেন না। তরমুজ নিন, টাকা দিন। বিক্রেতারা এভাবেই হৈ-হুল্লোড় করে তরমুজ বিক্রিতে মেতেছেন।

গতকাল শনিবার (১৪ মে) দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত পানির দরে তরমুজ বিক্রির এমন কাণ্ড দেখা যায় টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলা পৌর শহরের সাপ্তাহিক শিয়ালকোল হাটে।

সরেজমিনে দেখা যায়, বিক্রেতারা হাটে তরমুজের পসরা সাজিয়ে বসে আছেন। বিক্রেতাদের মধ্যে কেউ ক্রেতাকে তরমুজ কিনতে ডাকাডাকি করছে, কেউ ব্যাগে বা পলি কাগজে তুলে দিচ্ছেন।

এদিকে, পানির দরে তরমুজ বিক্রির কথা শুনে একেকজন ২ থেকে ৩টা করে তরমুজ নিচ্ছেন। এতে করে তরমুজ দোকানের চারপাশে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড় লেগে যায়। হঠাৎ কম দামে তরমুজ কিনতে পেরে উচ্ছ্বসিত ক্রেতারা।

এছাড়া কিছু কিছু তরমুজ ব্যবসায়ীরা ১০ থেকে ১৫ টাকা কেজি দরেও তরমুজ বিক্রি করছেন। উপজেলার পাথাইলকান্দী (যমুনা সেতু) বাজারেও একই চিত্র লক্ষ্য করা যায়।

তরমুজ বিক্রেতা আব্দুর রহমান, সুরমান আলী ও করিম খান বলেন, মোকামে তরমুজের দাম খুবই কম। তাই আমরাও কমে বিক্রি করতেছি। ক’দিন আগেও কেজি দরে বিক্রি করলেও এখন পিচ হিসেবে বিক্রি করা হচ্ছে।

তারা আরও জানান, গত কয়েক দিনের অতি বৃষ্টির কারণে ক্ষেতে তরমুজ পচে যাওয়ার উপক্রম দেখা দিয়েছে। যার ফলে চাষিরা দ্রুত ক্ষেত থেকে তরমুজ বিক্রি করে দিচ্ছে মোকামে। তাই স্থানীয় হাট-বাজারে তরমুজ ব্যাপক পরিমাণে দেখা মিলছে।

স্থানীয় শিক্ষক নজরুল মাস্টারসহ অনেকেই বলেন, ক’দিন বাজার থেকে ৩৫ থেকে ৪০ টাকা কেজি দরে তরমুজ কিনেছি। আজ হাটে এসে হঠাৎ শুনতে পেলাম তরমুজের পিচ মাত্র ২০ টাকা। পরে পরিবারের জন্য ৩ পিচ ৬০ টাকা দিয়ে কিনেছি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     এ বিভাগের আরো সংবাদ
Share via
Copy link
Powered by Social Snap