নিজস্ব প্রতিনিধিঃ ‘নদী বাঁচাও-দেশ বাঁচাও-বাঁচাও বাংলাদেশ’ এই শ্লোগানকে সামনে রেখে টাঙ্গাইলে ৪৬তম ঐতিহাসিক ফারাক্কা লংমার্চ দিবস পালন করেছে মাওলানা ভাসানী ফাউন্ডেশন।
এ দিবস উপলক্ষে সোমবার (১৬ মে) দিন ব্যাপি নানা কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। কর্মসূচির শুরুতে সকালে টাঙ্গাইলের সন্তোষে মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর মাজারে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও দোয়া করেন ভাসানী অনুসারীরা।
এরপর দুপুরে টাঙ্গাইল সাধারণ গ্রন্থাগারে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। মাওলানা ভাসানী ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান খন্দকার নাজিম উদ্দিনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভা প্রধান অতিথি ছিলেন- জাতি সংঘের সাবেক পানি বিশেষজ্ঞ ড. এস.আই খান।
এসময় বিশেষ অতিথি ছিলেন- মাওলানা ভাসানী ফাউন্ডেশনের উপদেষ্টা সৈয়দ ইরফানুল বারী, হারুন-অর-রশিদ, আলোচনা সভার সঞ্চালক ভাসানী ফাউন্ডেশনের মহাসচিব মাহমুদুল হক সানু।
এদিকে, সকালে সন্তোষে ন্যাপ ভাসানী ও ভাসানী পরিষদের পক্ষ থেকে ভাসানীর মাজারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- ন্যাপ ভাসানী ও খোদা-ই-খেদমতগারের সভাপতি হাসরত খান ভাসানী, মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মোহাম্মদ মফিজুল ইসলাম, ভাসানী পরিষদের সাবেক সভাপতি ইকবাল বাহার, কার্যকরী সভাপতি মোহাম্মদ কামরুজ্জামান খান ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ জিন্নাহ প্রমুখ।
প্রসঙ্গত, ১৯৭৬ সালের এই দিনে ফারাক্কা বাঁধের ফলে নদীর নাব্যতা হারানোর আশঙ্কায় ও পানির ন্যায্য হিস্যার মজলুম জননেতা মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর নেতৃত্বে লংমার্চ অনুষ্ঠিত হয়। পরে রাজশাহীর এক মাদরাসা ময়দান থেকে লাখো জনতার সেই লংমার্চ রওনা হয় ফারাক্কা বাঁধ অভিমুখে।
এরপর সেই লংমার্চ শেষে কানসাট হাইস্কুল মাঠে অনুষ্ঠিত বিশাল সমাবেশে বক্তব্য দেন মজলুম জননেতা মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী। সে থেকে প্রতি বছর ১৬ মে ফারাক্কা লংমার্চ দিবস নামে পরিচিতি লাভ করে এ দিনটি।
Leave a Reply