নিজস্ব প্রতিনিধিঃ টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে ধর্ষণ চেষ্টার শিকার প্রবাসীর এক স্ত্রীকে কু-প্রস্তাব দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে উপ-পরিদর্শক (এস.আই) সরুজ্জামানের বিরুদ্ধে। অভিযুক্তের কু-প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় মাদক মামলায় ফাঁসিয়ে আসামি করার হুমকিও প্রদান করেন তিনি।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ওই নারী গত সোমবার (১৬ মে) জেলা পুলিশ সুপার বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে। তিনি উপজেলার বাঁশতৈল ইউনিয়নের বাশঁতৈল গ্রামের বাসিন্দা। অভিযুক্ত সরুজ্জামান মির্জাপুর থানার বাঁশতৈল ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক (এস.আই) হিসেবে কর্মরত আছেন। শনিবার (২১ মে) বিকালে ওই ভুক্তভোগী নারী এ বিষয়টি জানিয়েছেন। তিনি জানান, তার স্বামী প্রবাসে থাকায় সে তার বাবার বাড়ি উপজেলার বাঁশতৈল ইউনিয়নের বাশঁতৈল গ্রামে বসবাস করে আসছেন। তাকে একই গ্রামের মৃত হাছেন আলীর ছেলে (৪৮) বিভিন্ন সময়ে দীর্ঘদিন ধরে কু-প্রস্তাব দিয়ে আসছিল।গত ২১ মার্চ রাতে হঠাৎ তাকে জোরপূর্বক জড়িয়ে ধরে স্পর্শকাতর স্থানে হাত দিয়ে শ্লীলতাহানি করে ধর্ষণের চেষ্টা করেন। পরে এর প্রতিবাদ করলে ইটের আঘাত তার বাম চোখসহ কপালে যখম করে লম্পট আলেক মিয়া।
এ নিয়ে মির্জাপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করার পর এ থানায় কর্মরত উপ-পরিদর্শক (এসআই) সুরুজ্জামান মামলাটি রেকর্ডের জন্য তার থেকে ১৫ হাজার টাকা ঘুষ নেয়। পরবর্তীতে সে আরও ২৩ হাজার টাকাসহ মোট ৩৮ হাজার ঘুষ নেন বলে জানান তিনি। এরপর এসআই সরুজ্জামান ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগটি রেকর্ড না করে সাধারণ মারামারি ধারায় রেকর্ড করে এবং সে সামাজিক যোগাযোগ গণমাধ্যম (ইমুতে) ফোন করে কু-প্রস্তাব দেয়।
তার কু-প্রস্তাবে না হলে মাদকের মামলা দিয়ে কোর্টে চালান করার ভয়-ভীতি দেখিয়ে হুমকিমূলক কথাবার্তা বলে বলে।ভুক্তভোগী নারীর মা বলেন, জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে অভিযোগ করার পর ঘুষ নেয়া ৩৮ হাজার টাকা থেকে ২০ হাজার টাকা ফেরত দিয়ে বাকি ১৮ হাজার টাকা ফেরত দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত এসআই সুরুজ্জামান বলেন, অভিযোগ টি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। কেনো এ ধরণের অভিযোগ করল আমি নিজেও বুঝতেছি না।
এ ব্যাপারে মির্জাপুর উপজেলার বাশতৈল পুলিশ ফাঁড়ির ইনর্চাজ সাখাওয়াত বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি। আমার উর্ধতন কর্মকর্তারা তদন্ত করবে।।
Leave a Reply