সুতা ও অন্যান্য কাঁচামালের দাম বাড়ায় লোকসান কাটিয়ে উঠতে পারছেন না টাঙ্গাইলের তাত ব্যবসায়ীরা

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ টাঙ্গাইলের বাজিতপুরে জমজমাট শাড়ির হাট। কাকডাকা ভোর থেকেই বিভিন্ন জেলা-উপজেলার শাড়ি ব্যবসায়ী ও তাঁতিরা এখানে শাড়ি কিনতে ছুটে আসেন। তবে সুতা ও অন্যান্য কাঁচামালের দাম বাড়ায় তারা লোকসান কাটিয়ে উঠতে পারছেন না। এদিকে হাট কর্তৃপক্ষের দাবি, হাটে পর্যাপ্ত পরিমাণে সুযোগ-সুবিধা না থাকায় আগের মতো ক্রেতা-বিক্রেতা আসছেন না। ফলে তাদের লোকসান গুনতে হচ্ছে।

কাকডাকা ভোরেই ক্রেতা-বিক্রেতায় সরগরম হয়ে ওঠে টাঙ্গাইলের পৌর এলাকার বাজিতপুর কাপড়ের হাট। তবে কোনোভাবেই যেন লোকসান কাটিয়ে উঠতে পারছেন না টাঙ্গাইলের তাঁতি ও ব্যবসায়ীরা।

অতিমারি করোনার প্রাদুর্ভাব বাড়ায় বিভিন্ন হাটবাজার বন্ধ করে দেয়া হয়। এতে তাঁতিরা তাদের উৎপাদিত শাড়ি ও কাপড় বিক্রি করতে পারেননি। ওই সময় প্রত্যেক তাঁতিকেই লাখ লাখ টাকা লোকসান গুনতে হয়েছে।

করোনার ধাক্কা সামলে অনেকেই ধারদেনা করে নতুন ‍পুঁজি নিয়ে পুনরায় ব্যবসার কার্যক্রম শুরু করেন। তবে লাগামহীনভাবে সুতার দাম বাড়তে থাকায় লোকসান কাটিয়ে ওঠার আগেই আবারও তাদের পুঁজি হারাতে হয়েছে। প্রতি কার্টন সুতার দাম দ্বিগুণ বেড়েছে। কিন্তু প্রতিটি শাড়ির দাম মাত্র ১০০-২০০ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে। তাই এসব তাঁতি দিন দিন শাড়ি ‍উৎপাদনে বিমুখ হচ্ছেন।

এর জন্য দ্রুত সরকারি প্রণোদনাসহ সুতার সিন্ডিকেট ভাঙতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানিয়েছেন তাঁতি ও ব্যবসায়ীরা।

অপরদিকে হাট ইজারাদার মাসুদ মিয়া জানান, শত বছরের পুরোনো হাটে কোনো প্রকার সুযোগ-সুবিধা নেই। তাই আগের মতো দূরের পাইকারি ব্যবসায়ীরা আসছেন না। এতে তাদের লোকসানে পড়তে হচ্ছে।

এ ক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেন তিনি।

উল্লেখ্য, টাঙ্গাইলের বাজিতপুর হাটে পাঁচ শতাধিক দোকান রয়েছে। প্রতি হাটে আগে কয়েক কোটি টাকার পণ্য বিক্রি হলেও বর্তমানে মাত্র ৫০ লাখ টাকার পণ্য বিক্রি হচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     এ বিভাগের আরো সংবাদ
Share via
Copy link
Powered by Social Snap