এলেঙ্গা-গোবিন্দাসী ভূঞাপুর সড়কে কিলোমিটার পোস্টে বঙ্গবন্ধু বানান ভুল করেছে সওজ

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ টাঙ্গাইলে এলেঙ্গা-গোবিন্দাসী ভূঞাপুর সড়কে নির্মিত কিলোমিটার পোস্টগুলোতে ‘বঙ্গবন্ধু সেতু’ বানানের জায়গায় ‘বঙ্গবন্দ্ধু সেতু’ লিখেছে সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগ। প্রায় তিন বছর আগে নির্মিত সে কিলোমিটার পোস্টে বঙ্গবন্ধু বানান ভুল থাকলেও এখন পর্যন্ত সেটি সংশোধন করতে পারেনি কর্তৃপক্ষ। এছাড়াও সড়ক সংস্কারের বছরখানেক পরই সড়কটি বৃষ্টির পানিতে ধসে পড়েছে। বঙ্গবন্ধু বানানে ভুল ও সড়কের বেহাল দশায় ক্ষোভ জানিয়েছেন সড়কে চলাচলকারী যাত্রী ও চালকরা।

জানা গেছে, মঈন উদ্দিন ও জামিল ইকবাল জয়েন্ট ভেঞ্চার লিমিটেড নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান তিন বছর আগে এলেঙ্গা-চরগাবসারা ভায়া ভূঞাপুর ২৩ কিলোমিটার সড়কের সংস্কার কাজ পায়। পরে ওই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজ থেকে সাব কন্ট্রাক্ট নিয়ে কাজ করেন স্থানীয় ঠিকাদারি আরেকটি প্রতিষ্ঠান।

তবে সড়ক সংস্কারে অনিয়মের অভিযোগ ছিল প্রথম থেকেই। পরে সংস্কার কাজ শেষে সড়কে নির্মাণ করা হয় কিলোমিটার দিক নির্দেশক পোস্ট ভূঞাপুর থেকে গোবিন্দাসী পর্যন্ত পাঁচ কিলোমিটার সড়কে চারটি কিলোমিটার দিক নির্দেশক পোস্টে বঙ্গবন্ধু বানানের জায়গায় ‘বঙ্গবন্দ্ধু’ লেখা হয়েছে। কিলোমিটার পোস্টে ভুল বানান থাকলেও সেটি সংশোধন করছে না সওজ কর্তৃপক্ষ। এতে সড়কে চলাচলকারী ও স্থানীয়রা কর্তৃপক্ষের উদাসীনতাকে দায়ী করছেন।

স্থানীয়রা জানান, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কিলোমিটার পোস্টে বঙ্গবন্ধু লিখতে ভুল করেছে। কিন্তু সওজ বিভাগের যিনি দায়িত্বে ছিলেন সেই প্রকৌশলী কেন দেখলেন না। এতে বঙ্গবন্ধুকে অসম্মান করা হয়েছে। অতিদ্রুত বানানটি সংশোধন করে এর সঙ্গে যারা জড়িত আছে তাদের শাস্তি দেওয়া উচিত।

ভূঞাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাসুদুল হক মাসুদ বলেন, বঙ্গবন্ধু বানানে ভুল এটি সাধারণ বিষয় না। এটি তারা করল কেন।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছা. ইশরাত জাহান বলেন, সড়কের পাশে নির্মিত কিলোমিটার পোস্টে বঙ্গবন্ধু সেতু লেখা বানানের দিকে এতোদিন লক্ষ্য করিনি। বিষয়টি আমরা এখন জেনেছি। সংশ্লিষ্ট যারা দায়িত্বে আছে তাদরকে জানানো হবে।

টাঙ্গাইল সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী সজল কুমার সরকার বলেন, আমি আসার আগে সড়কের কাজটি হয়েছে। বিষয়টি সম্পর্কে জানা নেই। বানান সংশোধনের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এ বিষয়ে জেলা সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. ওলিউল হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ হলে তিনি বিষয়টি নিয়ে কোনো মন্তব্য করেননি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     এ বিভাগের আরো সংবাদ
Share via
Copy link
Powered by Social Snap