নিজস্ব প্রতিনিধিঃ উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল আর টানা বৃষ্টিতে টাঙ্গাইলের যমুনা নদীতে আশঙ্কাজনক হারে পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। সেইসাথে সিরাজগঞ্জের ইজারাকৃত এলাকা থেকে বালু ক্রয় করে আনার নামে নির্মাণাধীন ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে সেতু’র অদূরে রাতের আঁধারে বাল্কহেড ড্রেজার দিয়ে অবৈধ বালু উত্তোলনে মেতেছে বালু ব্যবসায়ীরা। পানি বৃদ্ধির সময়ে বালু উত্তোলনরোধে কার্যকর কোনো উদ্যোগ নেয়নি জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ড ও স্থানীয় প্রশাসন, অভিযোগ স্থানীয়দের।
এদিকে, কয়েক দিন ধরে যমুনা নদীতে ব্যাপক পানি বাড়ছে। নদীতে শুকনো মৌসুমে ভিট বালু কেটে বালু উত্তোলন করতো বালুখোররা। আর এখন নদীতে পানি বাড়ায় সাদা বালু উত্তোলন আরও সহজ হয়েছে। বন্যার পানিতে তলিয়ে যাওয়া চরাঞ্চলের ফসলি জমি থেকে অবাধে বালু উত্তোলন করে সেতু পূর্ব থেকে গোবিন্দাসী ফেরিঘাট পর্যন্ত বালুর স্তুব করে রাখছেন বালু ব্যবসায়ীরা।
সরেজমিনে যমুনা নদীর ভূঞাপুর উপজেলা অংশে ঘুরে দেখা যায়, নদীতে প্রতিদিনই পানি বাড়ছে। এ সুযোগে বালু ব্যবসায়ীরা বাল্কহেড ড্রেজার ও ইঞ্জিলচালিত নৌকার মাধ্যমে নির্মাণধীন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ের অদূর থেকে কৌশলে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছে। ফলে নির্মাণাধীন রেল সেতুর অদূরে গভীরত বাড়ছে। নদীর তীরবর্তী এলাকাগুলোর ঘর-বাড়ি, বসতভিটা, মসজিদ-মন্দিরসহ অসংখ্য স্থাপনা রয়েছে হুমকিতে।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোছা. ইশরাত জাহান জানান, পানি বৃদ্ধিতে শুধু বালু উত্তোলন বন্ধেই নয়, সব সময় বালু উত্তোলন বন্ধে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, গত শুক্রবার (১৭ জুন) সকাল ৬ টা থেকে শনিবার (১৮ জুন) সকাল ৬ টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় যমুনা নদীর পানি ৪০ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। শনিবার যেকোনো সময় বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে।
টাঙ্গাইল পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সিরাজুল ইসলাম জানান, টাঙ্গাইলের যমুনা ও ধলেশ^রী নদীসহ জেলার বিভিন্ন শাখা নদীগুলোর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। তিনি জানান, নদীতে বালু উত্তোলন বন্ধ রয়েছে। তবুও কেউ যদি উত্তোলন করে তাহলে ডিসি মহোদয় ও উপজেলা প্রশাসনের সাথে কথা বলুন।
Leave a Reply