নিজস্ব প্রতিনিধিঃ টাঙ্গাইলে বিভিন্ন নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। এর ফলে জেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি আরো অবনতি হচ্ছে। বর্তমানে যমুনাসহ তিন নদীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এদিকে জেলায় ৭টি উপজেলার ৬ হাজার ৩শ’ হেক্টর ফসলী জমি পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে।
পানি বৃদ্ধির ফলে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। বিশেষ করে, টাঙ্গাইল সদর উপজেলা, বাসাইল, নাগরপুর, কালিহাতী, ভুঞাপুর, গোপালপুরের চরাঞ্চল এবং নিম্নাঞ্চলের গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, আজ বুধবার (২২ জুন) সকাল ৯টায় যমুনা নদীর পানি পোড়াবাড়ী পয়েন্টে ১০ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ৫৬ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
এ ছাড়া ঝিনাই নদীর পানি জোকারচর পয়েন্টে ৮ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ৬২ সেন্টিমিটার এবং ধলেশ্বরী নদীর পানি এলাসিন পয়েন্টে ১৩ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ২৪ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
কৃষি বিভাগ জানায়, জেলার ৭টি উপজেলায় আউশ, পাট, সবজি, তিল, বুনা আমনের প্রায় ৬ হাজার ৩শ’ হেক্টর ফসলী জমি নিমজ্জিত হয়েছে। পানি আরো বৃদ্ধি পেলে নিমজ্জিত ফসলের জমির পরিমানও বাড়বে।
কৃষি সম্প্রসাধরণ অধিপ্তরের উপ-পরিচালক আহসানুল বাশার বলেন, যদি এক সপ্তারের মধ্যে পানি নেমে যায় তাহলে আংশিক ক্ষতি হবে। তবে পানি সরে গেলে সঠিক ক্ষতির পরিমাণ জানা যাবে। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের সহযোগিতা করা হবে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সিরাজুল ইসলাম বলেন, জেলার বন্যা পরিস্থিতি আরো অবনতি হচ্ছে। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় নতুন নতুন নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হচ্ছে। কিছু কিছু এলাকায় নদী ভাঙনও দেখা দিয়েছে। যেসব জায়গায় কাজ করা প্রয়োজন তা করা হচ্ছে।
এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক আতাউল গনি বলেন, বন্যার্তদের পাশে থাকার জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসারদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। পর্যাপ্ত পরিমানে ত্রাণ বরাদ্দ রয়েছে। এছাড়াও বানবাসী মানুষের জন্য চিকিৎসা টিম গঠন করা হয়েছে। বন্যা কবলিত এলাকায় যাতে চুরি, ছিনতাই, ডাকাতি না হয় সে বিষয়ে ব্যবস্থা নিতেও পুলিশ সপারকে বলা হয়েছে।
Leave a Reply