নিজস্ব প্রতিনিধিঃ টাঙ্গাইলের সখীপুরে ইউপি সদস্যসহ পাঁচ জনের বিরুদ্ধে অব: সেনা কর্মকর্তার জমি দখলের অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযুক্ত মনিরুজ্জামান মিয়া ৪নং যাদবপুর ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য এবং মৃত হাজী আ. সাত্তার মিয়ার ছেলে। এ ঘটনায় ওই সাবেক সেনা কর্মকর্তা মোহাম্মদ আব্দুস ছামাদ বাদী হয়ে টাঙ্গাইল জেলা বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে দখলীয় জমিতে রোপন করা গাছ ও ভূমি উপর আকৃতি প্রকৃতি পরিবর্তন না করার দাবি করলে আদালত ওই জমির ওপর ১৪৪ ধারা জারি করেছেন।
ক্রয়সূত্রে জমির মালিক সাবেক সেনা কর্মকর্তা মোহাম্মদ আব্দুস ছামাদ বলেন, আমার চাকরির জীবনের সকল উপার্জন দিয়ে ওই জমিটুকু কিনেছি। এখন বেদখল দিতে স্থানীয় মেম্বার তার দলবল নিয়ে ভয়ভীতি দেখাচ্ছেন। আমার রোপনের বিভিন্ন ফলের চারা কেটেছেন। ৪/৫ পিচ টিন দিয়ে ছাপড়া দেওয়ার চেষ্টাও করেন। তাই আদালতে গিয়ে ১৪৪ ধারা জারি করেছি।
ওই জমি বিক্রেতা অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা মোঃ সোলাইমান মিয়া বলেন জমিটি আমার পৈত্রিক সম্পত্তি। আমি আমার প্রাপ্ত সম্পত্তি ফারাজ করে সাবকওলা দলিলের মাধ্যমে সামাদ সাহেবের নিকট বিক্রি করেছি। জমিটির বর্তমান মালিক তিনিই। এখানে মনির মেম্বার কিসের বলে জমি দাবি করন বিষয়টি বোধগম্য নয়।অভিযুক্ত স্থানীয় ইউপি সদস্য মোঃ মনিরুজ্জামান তার বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, জমির মুল মালিক আমার মামা আ. আজিজ। মামার সন্তান না থাকায় ওয়ারিশ সূত্রে জমির ভাগ আমারো আছে। ওই সেনা কর্মকর্তার ওই জমি কেনা ঠিক হয় নাই। এই জমি নিয়ে দীর্ঘদিন বিরোধ চলছে।
যাদবপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান একে এম আতিকুর রহমান আতোয়ার বলেন, ওই জমির মূলমালিকদের নিয়ে সমাধানের জন্য কয়েকদফা শালিশ বসা হয়েছে। আশা করছি দ্রুতই এটি সমাধান হবে।
Leave a Reply