নিজস্ব প্রতিনিধিঃ টাঙ্গাইলের কাগমারা ভাঙারপাড় এলাকায় বন্যার পানির স্রোতে ভেঙে যাওয়া স্থানে জনদুর্ভোগ লাঘবে বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করেছে এলাকাবাসী।
স্থানীয়রা জানান, টাঙ্গাইল-যুগনী সড়কের কাগমারা এলাকায় ভেঙে যাওয়ার ফলে সদর উপজেলার বাঘিল ও দাইন্যা ইউনিয়নের কয়েক গ্রামের মানুষ যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েন। সড়কটি ভেঙে বন্যার পানি ঢুকে পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডের কাগমারা, দাইন্যা ইউনিয়নের বাইমাইল, বাসারচর, লাউজানা ও বাঘিল ইউনিয়নের কোনাবাড়ী ও ধরেরবাড়ী গ্রামের ফসলি জমি তলিয়ে গেছে। টাঙ্গাইল পৌরসভার মেয়র এস এম সিরাজুল হক আলমগীর, সদর উপজেলার পরিষদের চেয়ারম্যান শাহজাহান আনছারী এবং স্থানীয় কাউন্সিলর সাইফুল ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে জনদুর্ভোগ লাঘবের আশ্বাস দিলেও তিনদিনে তা বাস্তবায়ন হয়নি।
পরে বুধবার বিকেলে ওই এলাকার আব্দুস সবুর মাতব্বর, ব্যবসায়ী রফিকুল ইসলাম স্বপন, আজাদ ফকির, আফসার ফকির, লাল মিয়া, শিহাব মিয়া, ঘটু মিয়া, টুটুল মিয়া, শাহিন মিয়া, রাজু মিয়াসহ যুবকদের উদ্যোগে ও নিজেদের অর্থায়নে বাঁশের ওই সাঁকোটি নির্মাণ করা হয়েছে। এতে যানবাহন চলাচল করতে না পারলেও মানুষ পারাপার হতে পারছে। ফলে মানুষের দুর্ভোগ অনেকটা লাঘব হয়েছে।
ওই এলাকার বাসিন্দা ব্যবসায়ী রফিকুল ইসলাম স্বপন বলেন, এই সড়ক দিয়ে শহরের সঙ্গে বাঘিল ইউনিয়নের দুর্গম যমুনার চরের মানুষ যাতায়াত করে। অনেকেই এই সড়ক দিয়ে মাঝ রাতেও বাড়ি ফেরেন। সড়কটি বন্যায় ভেঙে যাওয়ায় হাজার হাজার মানুষের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। জনপ্রতিনিধিরা দুর্ভোগ লাঘবের আশ্বাস দিলেও তা এখনো বাস্তবায়ন হয়নি। এ কারণে এলাকাবাসীর উদ্যোগে ও সহযোগিতায় বাঁশের সাঁকোটি নির্মাণ করা হয়েছে।
স্থানীয়দের টাকায় সাঁকো নির্মাণের কথা স্বীকার করেছেন ৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সাইফুল ইসলাম।
তিনি বলেন, দুই-একদিনের মধ্যেই জনসাধারণের চলাচলের জন্য পৌর অর্থায়নে সড়কটির মেরামত কাজ শুরু হবে।
এ বিষয়ে টাঙ্গাইল পৌরসভার মেয়র এস এম সিরাজুল হক আলমগীর বলেন, দ্রুতই সড়কটি মেরামত করা হবে।
Leave a Reply