নিজস্ব প্রতিনিধিঃ ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে হাটগুলোতে পর্যাপ্ত গরু-ছাগল থাকলেও এখন পর্যন্ত বেচাকেনা জমে উঠেনি। হাটে একদিকে ক্রেতার ভিড় নেই। অন্যদিকে যারা আসছেন তারাও পছন্দের গরু-ছাগলের দাম পরখ করে চলে যাচ্ছেন। এ ছাড়া ক্রেতারা কোরবানির পশুর বেশি মূল্য হাঁকানোর অভিযোগও করেছেন।
এদিকে হাটগুলোতে পর্যাপ্ত পরিমাণে পশু থাকলেও রয়েছে ক্রেতার সংকট। ফলে বেপারীরা এখনো বাজার পরিস্থিতি কোন দিকে যাচ্ছে তা বুঝে উঠতে পারছেন না। অধিকাংশ বেপারীরা বাজারে নিয়ে আসা পশু বিক্রি করতে পারবেন কি না তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন।
এতে হতাশা ও দুশ্চিন্তায় পড়েছেন ছোট-বড় গরু বেপারী এবং মৌসুমী ব্যবসায়ীরা। হাটে নিয়ে আসা ছোট-বড় গরুর খামারিরাও লোকসানের কথা জানিয়েছেন। অন্যদিকে ক্রেতারা বলছেন, গতবারের তুলনায় এ বছর কোরবানি পশুর দাম অনেক বেশি চাচ্ছে।
সরেজমিনে রবিবার (৩ জুলাই) সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলার গোবিন্দাসী গরুর হাট ঘুরে এমন চিত্র দেখা যায়।
সিরাজগঞ্জ থেকে আসা গরু ব্যবসায়ী রহিম মন্ডল ব্যাপারী জানান, ১ লাখ ২০ টাকার বেশি এমন ৯টি গরু হাটে তুলেছেন তিনি। এর মধ্যে সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত মাত্র ১টি গরু বিক্রি পেরেছেন তিনি। বাকিগুলো ক্রেতারা দেখেই চলে যাচ্ছেন।
বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব পাথাইলকান্দি থেকে আসা স্থানীয় গরু ব্যবসায়ী কাদের মোল্লা বলেন, গরুর দরদাম করে চলে যাচ্ছেন ক্রেতারা। কিন্তু কিনছেন না। ৮৫ হাজার টাকার গরু দাম করছে ৭০ হাজার টাকা। এতে করে লোকসানের আশঙ্কা করছি।
স্থানীয় ক্রেতা করিম হোসেন, মহর আলী, মজিবরসহ অনেকেই বলেন, গতবারের তুলনায় হাটে প্রচুর পরিমাণে গরু রয়েছে। কিন্তু দাম অনেক বেশি চাচ্ছেন। এর ফলে কোরবানির পশু কিনতে অনেকটা বেগ পোহাতে হচ্ছে।
হাসান মাহমুদ নামের এক ক্রেতা বলেন, বেচাকেনা পুরোপুরি শুরু হয়নি। কিন্তু এখন যে দাম চাওয়া হচ্ছে, তা গত বছরের তুলনায় বেশি। বিক্রেতারাও বাজার বোঝার চেষ্টা করছেন।
হাট ঘুরে দেখা গেছে, হাটে ক্রেতারা দলবদ্ধ হয়ে গরু দেখছেন ও দাম কষাকষি করছে। আবার অনেকে পছন্দ হলে বেশি দামেই গরু কিনছেন।
ছাগলের বেপারি তারা মিয়া বলেন, গরুর কেনাবেচা নেই বললেই চলে। আর ছাগল দুই-চারটা বিক্রি হচ্ছে। কোরবানির চাপ এখনো পড়েনি হাটে।
যেহেতু ঈদের এখনো বেশ কিছুদিন বাকি তাই দেখে শুনে কোরবানির পশু কিনবেন বলে জানান ক্রেতারা।
গোবিন্দাসী হাটের ইজারদার জাহিদুল ইসলাম খোকা জানিয়েছেন, হাটে পর্যাপ্ত কোরবানির পশু উঠেছে। তবে তেমন বেচাকেনা হচ্ছে না।
হাটের আইনশৃঙ্খলার বিষয়ে জানতে চাইলে ভূঞাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ ফরিদুল ইসলাম জানিয়েছেন, হাটের নিরাপত্তা বজায় রাখার জন্য বিশেষ টিম সার্বক্ষণিক নজর রাখছে।
Leave a Reply