নিজস্ব প্রতিনিধিঃ টাঙ্গাইলে বহুল আলোচিত সৃষ্টি একাডেমিক স্কুলের পঞ্চম শ্রেণির আবাসিক ছাত্র শিহাব (১১) হত্যা মামলায় আর কোনো আসামি গ্রেপ্তার হয়নি।
টাঙ্গাইল সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মীর মোশারফ হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এ সময় তিনি আরো জানান, আসামিরা পলাতক রয়েছে। তাদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
এদিকে নিহত শিহাবের পরিবারের অভিযোগ, পুলিশ ইচ্ছা করেই অন্য আসামিদের গ্রেপ্তার করছে না, সৃষ্টির কাছে বিক্রি হয়ে গেছে, তাই আসামি গ্রেপ্তার হচ্ছে না।
অন্যদিকে পাঁচ দিন রিমান্ড শেষে শিক্ষক আবু বকরকে আদালতে হাজির করা হয়েছে। পরে চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সিনিয়র জুজিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সামছুল আলম তাকে কারাগারে প্রেরণ করেন। চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের কোর্ট ইন্সপেক্টর তানভীর আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। নিহত শিহাবের বাবা ইলিয়াস হোসেন বলেন, পুলিশ সৃষ্টির কর্ণধার রিপনের কাছে বিক্রি হয়ে গেছে। তাই আর কোনো আসামি গ্রেপ্তার হয় না। রিপন এই লাশ কিনতে চায়, কিন্তু আমি আমার ছেলের লাশ বিক্রি করব না। কারণ, রিপনের দুর্নীতি ঢাকতে এই লাশ দরকার।
উল্লেখ্য, গত ২০ জুন টাঙ্গাইল জেলা শহরের সুপারি বাগান এলাকায় সৃষ্টি একাডেমিক স্কুলের আবাসিক ভবনের সাততলা থেকে শিহাব মিয়ার লাশ উদ্ধার করা হয়। মৃত শিহাব মিয়া জেলার সখিপুর উপজেলার বেড়বাড়ি গ্রামের প্রবাসী ইলিয়াস হোসেনের ছেলে। শুরু থেকেই শিশুটিকে হত্যার অভিযোগ তুলে আসছিল তার পরিবার। পরে লাশ ময়নাতদন্ত শেষে পারিবারের কাছে হস্তান্তর করে পুলিশ। এ ঘটনায় প্রাথমিক পর্যায়ে টাঙ্গাইল সদর থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন প্রকাশের পর রোববার বিকেলে র্যাব ৭ শিক্ষক এবং পুলিশ দুজন শিক্ষককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে। পরে র্যাব তাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ কোনো তথ্য না পাওয়ায় তাদের ৭ জনকে ছেড়ে দেয়।
পরে (২৭ জুন) নিহত শিহাবের মা বাদী হয়ে টাঙ্গাইল সদর থানায় ৬ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার আসামিরা হলেন-টাঙ্গাইলের সৃষ্টি একাডেমিক স্কুলের আবাসিক শিক্ষক আবু বক্কর, বিপ্লব, আশরাফ, মাসুদ, মতিন ও বিজন। পুলিশ মামলার আগে শিক্ষক নাসির ও আবু বক্করকে আটক করলেও মামলায় নাসিরের নাম না থাকায় তাকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।
Leave a Reply