নিজস্ব প্রতিনিধিঃ সারাদেশের ন্যায় করোনার করাল থাবা গ্রামের প্রত্যন্ত অঞ্চলে পৌঁছে যায়। অনেকটা বাবা-মা বাধ্য হয়েই উঠতি বয়সের ছেলে মেয়েদের হাতে মোবাইল ও অন্যান্য ডিভাইস তুলে দেয়। এসব বাচ্চারা হঠাৎ স্কুল থেকে বিরত হয়ে মোবাইল আসক্ত হয়ে পড়ে। দীর্ঘসময় প্রতিষ্ঠানের সাথে যোগাযোগ না থাকায়, বই খাতার সাথে সম্পর্ক কমে যায়। এমন অবস্থায় অভিভাবকদের চিন্তার ভাঁজ ফেলে দেয়। এমন সময় সখিপুরের কাহারতা গ্রামের মাঠকেন্দ্রিক গড়ে উঠে আসা ইয়াং-ইউনিটি ক্লাবের উদ্যমী সদস্যদের প্রচেষ্টায় স্কুল-কলেজ পড়ুয়া ছাত্রদের পড়াশোনার দীর্ঘবিরতি কাটিয়ে উঠার নানা কৌশলসহ নিয়মিত মাঠে খেলাধুলা ও নৈতিক শিক্ষার পরামর্শক হিসেবে কাজ করে যাচ্ছে।
এ বিষয়ে সখীপুর পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর মন্জুরুল হক (মজনু) বলেন, যদিও আমি ব্যবসায়ী তারপরও খেলাধুলার প্রতি আমার আগ্রহ বেশি। সখীপুরে যেখানেই খেলাধুলার আয়োজন হোক সময় সুযোগ পেলেই চলে যাই। আমার বাড়ির কাছেই এ মাঠে আগে নিয়মিত খেলাধূলা হতো এবং আমি নিজেও খেলেছি। হঠাৎ করোনা মহামারির কারণে খেলাধূলা বন্ধ হয়ে যায়,তারপর সারাদেশে অবস্থা স্বাভাবিক হলেও গ্রামের তরুণ প্রজন্ম মাঠমূখি না হয়ে বিভিন্ন অলি গলিতে,চায়ের দোকানে মোবাইল ফোন নিয়ে আড্ডা দিতে দেখা যায়। এদের ভবিষ্যৎ ভাবনা থেকে প্রতিষ্ঠিত করার লক্ষ্যে ইয়াং ইউনিটি ক্লাবের ভূমিকার জন্য সকল সদস্যদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
গতকাল বিকেলে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়,মাদ্রাসা শিক্ষক মোতালেব মিয়া মাঠের এক কর্ণারে বসে খেলা দেখছিল। তিনি বলেন,আমি খেয়াল করছি ছেলেরা এখন ইয়াং ইউনিটি ক্লাবের সদস্যদের চেষ্টায় নিয়মিত পড়াশোনা, খেলাধূলা ও নৈতিক শিক্ষার চর্চা করে যাচ্ছে। এই ক্লাব দরিদ্র মেধাবীদের শিক্ষাবৃত্তি প্রদান করে থাকে। উল্লেখ্য, একই গ্রামের আরেকটি মাঠ ধূমকেতু ক্রীড়া সংঘের আয়োজনে অনুষ্ঠিত হবে ৩০ জুলাই কৃতি ফুটবলার রাজ্জাক স্মৃতি ফুটবল টূর্ণামেন্ট।
Leave a Reply