নিজস্ব প্রতিনিধিঃ টাঙ্গাইলের ঘাটাইল প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির এডহক কমিটির সভাপতি ও সম্পাদকের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। গত ১৭ জুলাই উপজেলা চেয়ারম্যান বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন সমিতির পাঁচ শিক্ষক।
জানা গেছে, বর্তমান সভাপতি এমরান হোসেন ও সম্পাদক সোহাগ হাসান প্রভাব খাটিয়ে ২০২০ সালে নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে ঘাটাইল সরকারি প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি অ্যাডহক কমিটি গঠন করেন। সেই কমিটি কার্যক্রম চালাচ্ছে প্রায় তিন বছর ধরে।
সভাপতি ও সম্পাদক সমিতির স্থায়ী স্থাপনা এমনকি শিক্ষকদের কল্যাণে কোনো কাজ না করেই দায়িত্ব গ্রহণের পর প্রায় তিন বছরে ৬৯ লাখ ১০ হাজার টাকা ব্যয় দেখিয়েছেন, যা অর্থ আত্মসাতের শামিল। সমিতির অন্তর্ভুক্ত সহকারী শিক্ষকদের ১৩তম গ্রেডে বকেয়া বিল তৈরি করে দেন। সেখানে খরচ দেখানো হয়েছে এক লাখ ৭২ হাজার টাকা, যা অসামঞ্জস্য।
সমিতির পুরোনো মালপত্র বিক্রি করেছেন ৭৫ হাজার টাকা। কিন্তু কোষাগারে জমা দেখানো হয়েছে মাত্র ২ হাজার টাকা।
কার্যকরী কমিটির সিদ্ধান্ত ছাড়াই গাছ বিক্রি করা হয় ২৫ হাজার টাকা: কিন্তু জমা দেওয়া হয় ৩ হাজার।
লিখিত অভিযোগে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, বিভিন্ন অজুহাতে উপজেলার নাগবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দেলোয়ার হোসেনের কাছ থেকে দুই লাখ ৫০ হাজার, দেউলাবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আব্দুল মালেকের থেকে ২৩ হাজার ও ছুনটিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হুমায়ুন কবির তালুকদারের থেকে ১০ হাজার টাকা ঘুষ নিয়েছেন সভাপতি ও সম্পাদক।
তাঁদের স্বেচ্ছাচারিতার কারণে সম্প্রতি দু’জন সহসভাপতি, দপ্তর সম্পাদক, ক্রীড়া সম্পাদক কার্যকরী কমিটি থেকে পদত্যাগ করেছেন।
প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি এমরান হোসেন ও সম্পাদক নাজমুল হাসান জানান, এ ধরনের কোনো ঘটনা সমিতিতে ঘটেনি।
ঘাটাইল উপজেলা চেয়ারম্যান ও প্রাথমিক শিক্ষা কমিটির সভাপতি শহিদুল ইসলাম লেবু বলেন, তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Leave a Reply