বাসাইল প্রতিনিধিঃ আবহমান গ্রাম-বাংলার প্রাচীন লোক-ঐতিহ্য ও সমৃদ্ধ পরিচিত নাম নৌকা বাইচ। হাজার বছর থেকে গ্রামাঞ্চলের জনপদের জীবনপ্রবাহ ও বিরামহীন এই জীবনযাত্রায় এসেছে অনেক পরিবর্তন। কালের বিবর্তনে আধুনিকতার ছোঁয়ায় হারিয়ে যাচ্ছে গ্রামাঞ্চলের বিভিন্ন ধরণের উৎসব মুখোর খেলাধুলা। এ দেশের লোককৃষ্টির একটি অঙ্গ নৌকা বাইচ যা হারিয়ে যেতে বসেছে। জমছে না অতীতের মতো আজকাল আর নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা।
গ্রাম বাংলার প্রাচীন ঐতিহ্যকে বাঁচিয়ে রাখতে শুক্রবার বেলা দুইটা থেকে টাঙ্গাইলের বাসাইলে দিগন্ত বিস্তৃত দৃষ্টিনন্দন বাসুলিয়ায় উৎসব মুখর পরিবেশে প্রতি বছরের মতো এবারো অনুষ্ঠিত হয় ঐতিহ্যবাহী নৌকা বাইচ। আর এই নৌকা বাইচ দেখতে বাসুলিয়ার বিলের চার পাশে লাখো মানুষের সমাগম হয়। বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রয়াত মো. আবদুল মালেক মিয়া স্মৃতির স্মরণে নৌকা বাইচের আয়োজন করে উপজেলা আওয়ামী লীগ।
এ সময় টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক ড. মো. আতাউল গণির সভাপতিত্বে নৌকা বাইচে প্রধান অতিথি ছিলেন, টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও টাঙ্গাইল-৮ (বাসাইল-সখিপুর) আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট জোয়াহেরুল ইসলাম (ভিপি জোয়াহের)।
এছাড়া নৌকা বাইচ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন-বাংলাদেশ সরকারের অতিরিক্তি সচিব ড. হারুন অর রশিদ, প্রধান সমন্বয়কারী হিসাবে ছিলেন-উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাহিদা পারভীন, প্রধান আলোচক ছিলেন- আনোয়ার খান মডার্ন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কিডনী বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক এম.এ সামাদ।
নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতায় নারায়ণগঞ্জ ও টাঙ্গাইলের বিভিন্ন উপজেলা থেকে শিপ নৌকা, পানশী নৌকা, কোশা নৌকা, ময়ূরপক্ষীসহ বাহারী নামের এবং বিভিন্ন রঙের প্রায় ৩০টি নৌকা প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে। প্রতিযোগিতার চূড়ান্তভাবে জেলার ভূঞাপুর উপজেলা থেকে আসা ‘নিউ হীরার তরী’ নৌকা প্রথম হয় এবং দ্বিতীয় হয় নাগরপুর উপজেলার ‘হারানো তরী’। প্রতিযোগিতা শেষে নৌকা বাইচে বিজয়ীদের হাতে অতিথিরা পুরস্কার প্রদান করেন।
Leave a Reply