নিজস্ব প্রতিনিধিঃ টাঙ্গাইলে মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় একটি পা হারিয়ে দিনমুজুর শাহজাহান ওরফে মধু বেপারী এখন স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে মানবেতর জীবন-যাপন করছেন। পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী মধু বেপারী পা হারানোর কারণে পরিবারের কাছে এখন সে মাথার বোঝা।
পরিবার-পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবন-যাপন করা ২ সন্তানের জনক মধু বেপারী (৪৮) টাঙ্গাইল সদর উপজেলার করটিয়া ইউনিয়নের মাদারজানী গ্রামের নবাব আলীর ছেলে।
পাঁচ বছর আগে দিন মুজুর মধু বেপারী কাজ শেষ করে একটি অটোরিক্সা যোগে করটিয়া বাজার থেকে করাতিপাড়া হয়ে মহাসড়ক দিয়ে নিজ গ্রামে আসছিলেন। পথে মধ্যে বিপরীত দিক থেকে আসা দ্রুতগামী বাসগাড়ি অটোরিক্সাটিকে ধাক্কা দেয়। ওই ধাক্কার কারণে মধু বেপারীর একটি পা ভেঙ্গে পঙ্গু হয়ে যায়। অটোরিক্সা চালক ঘটনাস্থলেই নিহত হয়।
সেদিনের সেই দুর্ঘটনার কথা মনে হলে, আজও সিউরে ওঠেন তিনি। পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম মধু বেপারীর উপার্জনের উপর ভর করে চলতো সংসার। কিন্তু নিয়তির কি নির্মম পরিহাস! মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনা মধু বেপারীর জীবনকে এলোমেলো করে দিয়েছে।
এক সময় শত পরিশ্রম করেও কষ্টের ছাপ যেনো বোঝাই যেতোনা মধু বেপারীর হাঁসিমাখা মুখ দেখে। স্ত্রী,১ কন্যা ও ১ পুত্র সন্তান নিয়ে বর্তমান তিনি মানবেতর জীবন-যাপন করছেন। তার পুত্রটি বর্তমান একটি ষ্টিল কারখানায় সামান্য বেতনে করছে।
সরেজমিনে মধু বেপারীর সাথে কথা হলে তিনি বলেন,আমার একটি পা হারানোর পর থেকে বাড়িতে বসে থাকতে হয়। পঙ্গু জীবন নিয়ে গত পাঁচ বছরে চিকিৎসা করতে গিয়ে সম্বল যা ছিলো বিক্রি করে আজ আমি নিঃস্ব হয়ে পড়েছি।
তবে চিকিৎসক জানিয়েছে পায়ে দ্রুত অপারেশন করলে বাকি জীবনটা কাজ করে সংসার জীবন চালাতে পারতাম।মাদারজানী গ্রামের এমদাদুল হক এনামুল, মোস্তফা মুরাদ, আব্দুল হামিদ মিয়া, ইয়াকুব ও করিম সেখ জানান ,মধু বেপারী কাজ করে ছেলে-মেয়ে নিয়ে বেশ ভাল চলতো।
সড়ক দুর্ঘটনা একটি পা হারিয়ে তিনি আজ মানবেতর জীবন-যাপন করছে। আমরা আমাদের সাধ্যমত সহযোগীতা করেছি। শুনছি সামনে অপারেশনে বেশ টাকার প্রয়োজন কোন বিত্তশালী লোক তার পাশে দাড়ালে পরিবার টা বেঁচে যেতো।
করটিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা খালেকুজ্জামান চৌধুরী মজনু জানান, বিষয়টা আমি জানি এবং মধু বেপারীকে আমি ব্যক্তিগতভাবে চিনি। ইতোপুর্বে পরিষদ থেকে তাকে সামান্য সহযোগীতাও করা হয়েছিলো। আমি তার এবং পরিবারে জন্য সার্বিক মঙ্গল কামনা করছি।
Leave a Reply