নিজস্ব প্রতিনিধিঃ টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে বস্তায় আদা চাষ করে সফলতা পেয়েছে বিদেশ ফেরত কালাম সরকার। তার নিজ বাড়ির আঙ্গিনায় পতিত ছায়াযুক্ত স্যাতস্যাতে স্থানে ১১’শ বস্তায় আদা চাষ করেন তিনি।
উপজেলা কৃষি বিভাগের পরামর্শে বিদেশ ফেরত কামাল সরকার বস্তা পদ্ধতিতে আদা চাষ করেন। তাকে দেখে এখন অনেক কৃষক এ পদ্ধতিতে আদা চাষে আগ্রহী হবেন বলে মনে করছেন উপজেলা কৃষি বিভাগ।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার কুঠিবয়ড়া গ্রামের কালাম সরকার বিদেশ ফেরত একজন পরিশ্রমী ও উদ্যোমী ব্যক্তি। বিদেশ থেকে এসে তার বাড়ির আঙ্গিনায় পতিত ছায়াযুক্ত স্যাতস্যাতে ১০ শতাংশ জমিতে উপজেলা কৃষি বিভাগের পরামর্শে ১১’শ বস্তায় জৈব সার ব্যবহার করে বার্মা হাইব্রিড আদা চাষ করেন।
প্রতি বস্তায় পরিমাণ মত সার ও ওষুধ প্রয়োগ করে তাতে ২/৩ টুকরো আদা সৃজন করেন। এখন প্রতি বস্তায় ৫/৬ টি গাছ পরিপক্ক হয়ে উঠেছে। প্রতি বস্তায় গড়ে ১.৫ কেজি আদা হবে বলে আশা করছেন তিনি।
১১’শ বস্তায় আদা পাওয়া যাবে প্রায় ১ হাজার ৬৫০ কেজি। বাজার মূল্য ভালো পেলে প্রায় দেড় লাখ টাকার আদা বিক্রি কতরে পারবেন তিনি। এ আদা চাষে তার খরচ হবে মাত্র ২৮ থেকে ৩০ হাজার টাকা। এতে খরচ বাদে তার আয় হবে লাখ টাকার উপরে।
বিদেশ ফেরত আদা চাষী কালাম সরকার বলেন, আমি পরিশ্রম করতে পছন্দ করি। এতে অর্থনৈতিক ও শারীরিক সফলতা পাওয়া যায়। আমি বাড়ির আঙ্গিনায় পতিত ছায়াযুক্ত স্যাতস্যাতে স্থানে ১১’শ বস্তায় আদা চাষ করি। সাধারণভাবে আদা চাষের চেয়ে এই পদ্ধতিতে ফলন বেশি হয়। উপজেলা কৃষি বিভাগ আমাকে সার্বিক পরামর্শ দিয়ে সহযোগিতা করে যাচ্ছেন।
তিনি আরো বলেন, এখন আদা গাছের বয়স তিন মাস। এ পর্যন্ত ১১’শ বস্তায় সব মিলিয়ে ১৬ হাজার টাকার মতো খরচ হয়েছে। আরো প্রায় ৮ থেকে ১০ হাজার টাকা খরচ হবে। তিন মাস পরে সবগুলো বস্তা থেকে আদা সংগ্রহ করা হবে। এতে প্রায় ১৪ থেকে ১৫’শ কেজি আদা উৎপাদন হবে, যার আনুমানিক মূল্য ১ লাখ ৩০ হাজার থেকে দেড় লাখ টাকা।
এবিষয়ে ভূঞাপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোঃ হুমায়ুন কবির বলেন, উপজেলার কুঠিবয়ড়া এলাকায় বাড়ির আঙ্গিনায় ছায়াযুক্ত পতিত স্যাতস্যাতে স্থানে বস্তা বসিয়ে আদা চাষ করছেন বিদেশ ফেরত কমাল সরকার নামের এক যুবক। এটি নিঃসন্দেহে একটি ভালো উদ্যোগ। বস্তায় মাটি ভরাট করে আদা চাষ কৃষকের কাছে একটি নতুন পদ্ধতি। এই পদ্ধতিতে আদা চাষে খরচ কম, লাভ অনেক বেশি।
Leave a Reply