নিজস্ব প্রতিনিধিঃ বাড়ির উঠানে খেলাধুলা করছিল দশ বছরের শিশু ছেলে মাইনুদ্দিন। তার মা ও বড় ভাই গিয়েছিল বাজারে। এরফাঁকে গোসলে শেষে ঘরের-দরজা জানালা বন্ধ করে রুমের ভেতরে ধর্ন্নার সাথে গলায় রশি বেঁধে ফাঁসি দিয়ে আত্মহত্যা করেন বাবা।
মঙ্গলবার (৯ আগস্ট) বিকাল ৪টায় এমন ঘটনা ঘটে টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলার নিকরাইল ইউনিয়নের সারপলশিয়া গ্রামে আব্দুল মজিদের বাড়িতে।
নিহত সেনা বাহিনীর সিভিল সদস্যের নাম ছাইদুল ইসলাম (৩৭)। তার গ্রামের বাড়ি কুমিল্লার মুরাদ নগর উপজেলার পীরকাশিমপুর। সে মৃত বশির আহমেদের ছেলে।
তিনি উপজেলার বঙ্গবন্ধু সেতু ক্যান্টনমেন্টের ১১ আরই ব্যাটালিয়নের জাহাজ স্টাফ ও সিভিল ইলেকট্রিশিয়ান হিসেবে কর্মরত ছিল এবং সারপলিয়া গ্রামের আব্দুল মজিদ মিয়ার বাসা ভাড়া নিয়ে স্ত্রী ও দুই ছেলে সন্তান নিয়ে ভাড়া থাকতেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বাজার থেকে আসা সেনা বাহিনীর সিভিল সদস্যের স্ত্রী ও তার বড় ছেলে হাসান বাড়িতে এসে দেখতে পায় তার ছোট ভাই মাইনুদ্দিন কান্না করছে। এসময় ঘরের দরজা-জানালা বন্ধ দেখে তার বাবাকে ডাকা-ডাকি করতে থাকে।
একপর্যায়ে জানালার ফাঁক দিয়ে দেখে হাসানের বাবা ছাইদুল ইসলাম ঘরের ধণ্নার সাথে ফাঁসিতে ঝুলে আছে। পরে ডাক-চিৎকার করলে আশপাশের লোকজনকে ছুটে আসে এবং সেনাবাহিনী ও পুলিশকে খবর দেয়। পরে তারা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন।
এদিকে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, সেনা বাহিনীর সিভিল সদস্য ও জাহাজের স্টাফ ছাইদুল ইসলাম প্রায় ৩ ধরে পাইলসের সমস্যায় ভুগছিলেন। হয়তো বা সেই কারণে আত্মহত্যা করতে পারে। তবে, পারিবারিকভাবে কোন কলহ বা দ্বন্দ্ব ছিল না।
এ ব্যাপারে সন্ধ্যায় ভূঞাপুর থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. ফরিদুল ইসলাত জানান, আত্মহত্যার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসা হয়েছে। কি কারণে আত্মহত্যা করেছে তা জানা যায়নি। মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানোর প্রক্রিয়াধীন।
Leave a Reply