নিজস্ব প্রতিনিধিঃ টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে মাদরাসা ছাত্রীদের ইভটিজিংয়ে বাধা দেওয়ার জেরে শিক্ষককে লাঞ্ছিত ও মারধরের ঘটনা ঘটেছে। আহত শিক্ষক মোহাম্মদ সাইদুর রহমান ওই মাদরাসার সুপার।
গত বৃহস্পতিবার (২৫ আগস্ট) সকালে উপজেলার অর্জুনা দাখিল মাদরাসায় এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় ওইদিন বিকেলে ৬ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ১০-১২ জনের নামে ভূঞাপুর থানায় অভিযোগ করেছে শিক্ষক।
অভিযুক্তরা হলেন- উপজেলার কুঠিবয়ড়া গ্রামের সেলিম খান (৩৫), তার স্ত্রী নাহার খানম (৪০) ও তাদের দুই ছেলে নাঈম খান (১৮), নাহিদ ওরফে সুলতান খান (২২) বাদলের ছেলে রিমন খান (১৬) এবং গোলাম মোস্তফার ছেলে মাহিম (১৬) সহ অজ্ঞাত ১০/১২ জন।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, অভিযুক্ত মাহিম ও রিমন নামে দুই বখাটে বৃহস্পতিবার সকালে তার বন্ধুদের সাথে নিয়ে মাদরাসায় সাইকেল নিয়ে প্রবেশ করে ছাত্রীদের ইভটিজিং করতে থাকে। এসময় সুপার সাইদুর রহমান মাদরাসার ম্যানেজিং কমিটির সাবেক অভিভাবক সদস্য কাশেম আলীকে সঙ্গে নিয়ে বখাটে ওই দুইজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। পরে উত্তর না দিয়ে সাইকেল রেখে চলে যায় তারা।
পরবর্তীতে সাইকেল মাদরাসা রেখে যাওয়ার একপর্যায়ে দুই বখাটের পক্ষ থেকে অভিযুক্ত সেলিম খান, তার স্ত্রী নাহার খানম ও তাদের দুই ছেলে নাঈম খান এবং নাহিদ ওরফে সুলতান খান এবং আরেকজন অভিযুক্ত বাদলের ছেলে রিমন মাদরাসার প্রবেশ করে অফিস ভাঙচুর ও শিক্ষক সাইদুর রহমানকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ এবং লাঞ্ছিতসহ মারধর করে। একইসময়ে শিক্ষক সাইদুর রহমানের মোটরসাইকেলসহ হেলমেট ভাঙচুর করে রিমন নামে বখাটে। পরবর্তীতে মাদরাসার অন্যান্য সহকারী শিক্ষকরা তাকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ভূঞাপুর উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে ভর্তি করে। বর্তমানে তিনি চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এ ঘটনায় মাদরাসা সুপার মোহাম্মদ সাইদুর রহমান বলেন, বহিরাগত এসব বখাটেরা দীর্ঘদিন ধরে মাদরাসার ছাত্রীদের রাস্তা-ঘাটে ও মাদরাসায় ভেতরে প্রবেশ করে বিভিন্ন সময় ইভটিজিং করত। এনিয়ে বেশ কয়েকবার তাদের নিষেধ করা হয়েছিল। আবার বৃহস্পতিবার সকালে ওই বখাটেরা মাদরাসায় প্রবেশ করে ইভটিজিং করছিল। বিষয়টি দেখে একজন সাবেক অভিভাবক সদস্যকে বাধা দিতে গেলে বখাটেরা তাদের সাইকেল রেখে চলে যায়। পরে দলবল নিয়ে তারা মাদ্রাসায় হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও মারপিট করে।
এ বিষয়ে ভূঞাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহাম্মদ ফরিদুল ইসলাম জানান, মাদরাসা সুপার একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
Leave a Reply