সখীপুরে টিকটক করা বাধ্য করায় বিদ্যালয়ের নিরাপত্তাকর্মীকে বরখাস্ত

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলার নলুয়া বাছেদ খান উচ্চবিদ্যালয়ের নিরাপত্তাকর্মী (দারোয়ান) আরিফ মিয়াকে (২৪) সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। আরিফের সঙ্গে ছাত্রীদের টিকটক ভিডিও করতে বাধ্য করার এমন অভিযোগ এনে তাঁকে বরখাস্ত করা হয়। জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা লায়লা খানম রোববার বিকেলে দারোয়ান আরিফকে বরখাস্ত করার কথা জানান।

সম্প্রতি, ওই নিরাপত্তাকর্মীর সঙ্গে এক ছাত্রীর বিদ্যালয় অঙ্গনে করা টিকটক ভিডিও ভাইরাল হওয়ায় আরিফের বিচার দাবি করে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কার্যালয়ে একটি লিখিত অভিযোগ দেন। গতকাল জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা লায়লা খানম এ ঘটনার তদন্তে এসে সত্যতা পেয়ে দারোয়ানকে বরখাস্তের জন্য নির্দেশ দেন।

অভিযোগ ও বিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, পাবনা জেলার বাসিন্দা আরিফ মিয়া প্রায় পাঁচ বছর ধরে উপজেলার নলুয়া বাছেদ খান উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বাড়িতে ভাড়া থাকেন। সেই পরিচয়ে বছরখানেক আগে ওই বিদ্যালয়ে নিরাপত্তারক্ষী (দারোয়ান) পদে চাকরি নেন আরিফ। মাস ছয়েক ধরে আরিফের বিরুদ্ধে ছাত্রীদের উত্ত্যক্ত করাসহ কিছু ছাত্রীর সঙ্গে টিকটক ভিডিও করার অভিযোগ ওঠে। সম্প্রতি বিদ্যালয়ের ইউনিফর্ম পরা ছাত্রীর সঙ্গে আরিফের একটি টিকটক ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। এ ঘটনায় ওই উচ্চবিদ্যালয়ের বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা প্রধান শিক্ষকের কাছে মৌখিকভাবে অভিযোগ দিলেও আরিফ প্রধান শিক্ষকের বাসায় ভাড়া থাকায় অভিযোগটি আমলে নেননি বলে অভিযোগ করেন শিক্ষার্থীরা। পরে তারা বাধ্য হয়ে ইউএনওর কার্যালয়ে গিয়ে আরিফের বিচার দাবি করে একটি লিখিত অভিযোগ দেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মফিজুল ইসলামকে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়।রবিবার দুপুরে জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা লায়লা খানম হঠাৎ বিদ্যালয় পরিদর্শনে আসেন। তিনি ছাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে এ ঘটনার সত্যতা খুঁজে পান। তিনি দারোয়ান আরিফকে সাময়িক বরখাস্ত করার জন্য ম্যানেজিং কমিটির সভাপতিকে নির্দেশ দেন।

বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি ও যাদবপুর ইউপি চেয়ারম্যান আতিকুর রহমান বলেন, ইতিমধ্যে দারোয়ান আরিফকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়।

আরিফের মুঠোফোনে বারবার যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তাঁর মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়। তবে এর আগে আরিফ বলেছিলেন, ‘একজন মেয়ের অনুরোধে আমি টিকটকে অংশ নিয়েছি। পরবর্তী সময়ে ওই ভিডিওটি ভাইরাল হয়। এখন মেয়েটির সম্মান রক্ষা করতে গিয়ে মেয়েটি আমাকে ফাঁসাচ্ছে। আমি কোনো ছাত্রীকে উত্ত্যক্ত করিনি। আমি প্রধান শিক্ষকের বাসায় ভাড়া থাকি। এটাই আমার কাল হয়েছে।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     এ বিভাগের আরো সংবাদ
Share via
Copy link
Powered by Social Snap