টাঙ্গাইলে বিড়ি শ্রমিকদের নিয়ে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের প্রস্তাবিত খসড়া ও বিড়ি শ্রমিকদের করণীয় বিষয়ক আলোচনা সভা

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ডেভেলপমেন্ট অরগানাইজেশন অব দি রুরাল পুয়র-ডরপ’র উদ্যোগে বিড়ির শ্রমিকদের নিয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের প্রস্তাবিত খসড়া ও বিড়ি শ্রমিকদের করণীয় বিষয়ক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বুধবার (৩১ আগস্ট) টাঙ্গাইল সদরে ঘারিন্দা ইউনিয়নে বড়রিয়া নাট মন্দিরে ২০জন বিড়ি শ্রমিক ও নেতাদের নিয়ে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। এসময় এলাকার অন্যান্য গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ডেভেলপমন্টে অর্গানাইজেশন অব দ্য রুরাল পূওর (ডরপ) এর প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর রুবিনা ইসলাম।

আয়োজিত অনুষ্ঠানে ঘারিন্দা ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান মো. আনোয়ার হোসেন বাকীর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন টাঙ্গাইল জেলা বিড়ি শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মো. লুৎফর রহমান, সাধারণ সম্পাদক জসীম উদ্দিন, যুগ্ম সম্পাদক আসলাম, সহ-সম্পাদক জীবন সাহা, সাংগঠনিক সম্পাদক স্বপন কুমার ঘোষ প্রমুখ। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন ডরপ টাঙ্গাইল জেলার ফ্যাসিলেটেটর জাহাঙ্গীর আলম।

অনুষ্ঠানে অংশ গ্রহণকারী সকল কে ডরপ এর পক্ষ থেকে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক তামাক নিয়ন্তরণ আইনের প্রস্তাবিত খসড়ার বিষয়ে অবহিত করা হয় এবং এ বিষয়ে তাদের মন্তব্য নেওয়া হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বলেন, প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভাবে তামাক জাত দ্রব্য ব্যবহার করার কারণে আমরা বিড়ি শ্রমিকরা অন্য যেকোনো শিল্প-কার খানার শ্রমিকদের চেয়ে বেশি স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে থাকি। আমরা চাইনা, আমাদের সন্তানরা এই পেশায় আসুক। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় যে সকল পাবলিকপ্লেস ও পাবলিক পরিবহনে ধূম পানের জন্য নির্ধারিত স্থান বিলুপ্ত এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল, ক্লিনিক, খেলা ধূলার স্থান ও শিশু পার্কের সীমানার ১০০মিটারের মধ্যে তামাক ও তামাক জাত দ্রব্য বিক্রি নিষিদ্ধ করার প্রস্ত—াব রেখেছে তাতে আমরা খুশি। কারণ এতে আমাদের সন্তানরা ধূমপানে আসক্ত হওয়া থেকে বিরত থাকতে পারবে এবং আমাদের পরিবার পরোক্ষ ধূমপানের স্বাস্থ্য ক্ষতি থেকে রক্ষা পাবে।

টাঙ্গাইল জেলা বিড়ি শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি বলেন, আমরা সেই বাপ-দাদার আমল থেকে বিড়ি বানাই। জেনে হোক আর না জেনে হোক আমরা এ পেশার সাথে ওতপ্রোত ভাবে জড়িয়ে গেছি। বিকল্প কর্ম-সংস্থানের সুযোগ নেই, ফলে এ পেশা ছাড়তে পারছিনা। কিন্তু তাই বলে আমরা ভালো কাজ করছি সেটা কখনও বলবোনা। আমরা ডরপ এর সাথে এক বছর ধরে কাজ করছি। তাই তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন বিষয়টা সম্পর্কে জানি। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের যে খসড়া দিয়েছে যেমন- তামাক জাত দ্রব্যের কৌটা বাপ্যাকেটে স্বাস্থ্য সতর্ক বার্তার পরিমাণ ৫০ ভাগ থেকে ৯০ ভাগকরা, তামাক জাত দ্রব্যের প্যাকেট, মোড়ক ও কৌটার আকার আয়তন,ও জন সংখ্যাও পরিমাণ নির্ধারিত করা ইত্যাদি বিষয়গুলো জনগণের স্বাস্থ্যের জন্য ভালো হবে। এইখসড়া চুড়ান্ত হোক। এটাই আমরা আসা করি।

এছাড়া অনুষ্ঠানে অংশ গ্রহণকারী বিড়ি শ্রমিকগণ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের প্রস্তাবিত খসড়া দ্রæত চুড়ান্তের পক্ষে মতামত প্রদান করেন এবং অলোচনার বিষয় গুলো নিয়ে তাদের পাড়া-প্রতিবেশিদের সাথে মত-বিনিময়ের অঙ্গীকার করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     এ বিভাগের আরো সংবাদ
Share via
Copy link
Powered by Social Snap