নিজস্ব প্রতিনিধিঃ টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে ছেলে ও ছেলের বউ মিলে বাবাকে খুন করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। পারিবারিক কলহের জের ধরে আনোয়ার হোসেন ওরফে দুখু মিয়া (৫৫) কে তার ছেলে লিটন মিয়া ও ছেলের বউ রাশেদা বেগম পিটিয়ে হত্যা করে।
বুধবার (৩১ আগস্ট) বেলা সাড়ে বারোটার দিকে উপজেলার জামুর্কী ইউনিয়নের আগধল্যা গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার পর ছেলে লিটন পালিয়ে গেলেও পুত্রবধূ রাশেদা বেগমকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
পুলিশ ও পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার আগধল্যা গ্রামের বাসিন্দা আনোয়ার হোসেন ওরফে দুখু মিয়ার স্ত্রী আউশি বেগমের সঙ্গে পুত্রবধূ রাশেদা বেগমের প্রায় ঝগড়া হয়। বুধবার শাশুড়ি ও পুত্রবধূর মধ্যে পাটশোলা নিয়ে ঝগড়া হয়। শ্বশুর দুখু মিয়া বাড়িতে এসে স্ত্রী ও পুত্রবধূর ঝগড়া দেখতে পেয়ে স্ত্রীকে শাসান।
এতে পুত্রবধূ শান্ত না হয়ে শশুরের সাথে ঝগড়া শুরু করে। এক পর্যায় শশুর ও পুত্রবধূর মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। বা ড়ি র অপর পাশ থেকে ছেলে লিটন মিয়া ঝগড়ার দৃশ্য দেখে দৌড়ে এসে বৈঠা নিয়ে বাবাকে এলোপাথারি পেটাতে থাকে। তার বৈঠার আঘাতে ঘটনাস্থলেই দুখু মিয়ার মৃত্যু হয়।
প্রত্যক্ষদর্শী পাশের বাড়ির রওশনারা বেগম ও মজনু মিয়া জানান, পাটশোলা নিয়ে বৌ-শাশুড়ির ঝগড়া হয়। শ্বশুর দুখু মিয়া বাড়িতে এসে স্ত্রী আউশিকে শাসান। পুত্রবধূ রাশেদা শান্ত না হয়ে শ্বশুরের সাথে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন। তাদের এই দৃশ্য দেখে ছেলে লিটন খাল সাঁতরে বাড়িতে এসে বৈঠা দিয়ে তার বাবাকে এলোপাথারি পেটাতে থাকে। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
ঘটনার পর লিটন দৌড়ে পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে মির্জাপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পুত্রবধূ রাশেদাকে গ্রেপ্তার করে।
মির্জাপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আবুল বাশার জানান, বাবা ও ছেলে পেশায় দিন মুজুর। মাঝে মধ্যে তাদের মধ্যে পারিবারিক কলহ লেগে থাকতো। বুধবার পারিবারিক কলহের জের ধরে ছেলে ও পুত্রবধূ বাবাকে পিটিয়ে হত্যা করে। পুত্রবধূ রাশেদাকে আটক করা হয়েছে।
মির্জাপুর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ আবু সালেহ মাসুদ করিম জানান, সুরতহাল শেষে মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য টাঙ্গাইল শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ছেলে লিটনকে গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে বলে তিনি জানিয়েছেন।
Leave a Reply