নিজস্ব প্রতিনিধিঃ উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল আর টানা বৃষ্টিতে টাঙ্গাইলের যমুনা নদীতে চতুর্থ দফায় নতুন করে আবারও পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। নতুন করে পানি বৃদ্ধির ফলে জেলার ভূঞাপুর উপজেলার গাবসারা, অর্জুনা, নিকরাইল ও গোবিন্দাসী চরাঞ্চলে বিভিন্ন রবি ফসল চাষাবাদ নিয়ে শঙ্কায় পড়েছেন কৃষকরা। এতে করে বর্তমানে ভুট্টা, মিষ্টি আলুসহ বিভিন্ন জাতের কালাই ও সবজি বীজ রোপন করা থেকেও কৃষকরা বিরত থাকছেন। এদিকে, চরাঞ্চলের অসংখ্য ফসলি জমি ভাঙন অব্যাহত।
গাবসারা চরাঞ্চলের কালিপুর এলাকার কৃষক আলীম মিয়া, সবুর আলী ও সরুজ্জামান জানান, গত কয়েকমাস ধরে নদীর পানি শুকিয়ে যাওয়ায় অসংখ্য চর জেগে ওঠেছে। এতে করে অনেকেই চাষাবাদ শুরু করি। ফলে পাটসহ অনেক ফসলের ফলন ভালো হয়। গো-খাদ্যেও ভরপুর হয় সবুজ ঘাসে। হঠাৎ দু’তিন দিন ধরে যমুনায় পানি বাড়ছে। পানি বৃদ্ধি দেখে আপাতত বিভিন্ন ধরণের রবি ফসল ও সবজি বীজ রোপন করছি না। পরিস্থিতি দেখে চাষাবাদ শুরু করব।
এ প্রসঙ্গে উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ ড. হুমায়ুন কবীর জানান, কয়েক মাস আগে যমুনা নদীর পানি কমে গেলে চরাঞ্চলের কৃষকরা পাট, তিলসহ বিভিন্ন ধরণের ফসল রোপন করে। সেসময় ভয়াবহস বন্যায় তিল ও অন্যান্য ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়। তবে, পাটের তেমন ক্ষতি না হওয়ায় এ বছর পাটের ফলন বেশ ভাল হয়েছে। বর্তমানে চরাঞ্চলে ভুট্টা, মিষ্টি আলু, মাশ কালাই ও খেসারি কালাইসহ ইত্যাদি ফসলের প্রস্তুতি নিচ্ছিল কৃষকরা। পানি বৃদ্ধির পরিস্থিতি বুঝে ফসলের বীজ রোপন করবে তারা।
যমুনা নদীতে পানি বৃদ্ধির প্রসঙ্গে টাঙ্গাইল জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সাজ্জাদ হোসেন জানিয়েছেন, গত কয়েকদিন ধরেই যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। বৃহস্পতিবার ১ সেপ্টেম্বর সকাল থেকে শুক্রবার (২ সেপ্টেম্বর) সকাল ৬ টা পর্যন্ত পানির লেভেল মতে যমুনা নদীর পোড়াবাড়ী পয়েন্টে বিপদসীমার ২২৬ সেন্টিমিটার নিচে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। বড় ধরণের বন্যার সম্ভাবনা নেই। এছাড়া ভাঙন কবলিত এলাকাগুলো জিও ফেলার কার্যক্রম চলমান।
Leave a Reply