ঘাটাইল প্রতিনিধিঃ টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে দুর্বৃত্তের হামলায় গুরুতর আহত বাবলু সরকার (৪৫) নামের এক ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) সদস্যের মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
উপজেলার চৈথট্ট গ্রামের বাসিন্দা বাবলু দেউলাবাড়ি ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য এবং ওই ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান।
বাবলুর স্ত্রী শাহিনা বেগম ও পরিবারের সদস্যরা জানান, বৃহস্পতিবার বিকেলে জমিসংক্রান্ত বিষয়ে কথা বলতে উপজেলার পাকুটিয়া এলাকার দুলাল মাস্টার ও রিপন তাঁকে পাকুটিয়া যেতে বলেন।
রাত ৮টার দিকে ফোনে যোগাযোগ হলে বাবলু গাড়িতে করে টাঙ্গাইল যাচ্ছেন বলে জানান। এরপর পরিবারের সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়।
বাবলুর বড় ভাই ইয়ার মাহমুদ জানান, রাত ৯টার দিকে কুমুদিনী হাসপাতাল থেকে এক লোক ফোন করে বাবলুর মেয়ে লাবনীকে জানান, তাঁকে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
খবর পেয়ে পরিবারের লোকজন হাসপাতাল যান। সে’খান থেকে ওই রাতেই তাঁকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। তাঁকে হাতুড়ি ও রড দিয়ে মাথার পেছনে আঘাত করা হয়েছিল বলে ধারণা করা হয়।
উদ্ধারকারীদের উদ্ধৃতি দিয়ে ইয়ার মাহমুদ জানান, মির্জাপুর উপজেলার ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের নিচে অর্ধমৃত অবস্থায় পড়ে ছিল বাবলু।
নিহতের স্ত্রী শাহিনা ও বড় ভাই ইয়ার মাহমুদ জানান, জমিসংক্রান্ত বিরোধে পার্শ্ববর্তী পাঞ্জানা গ্রামে সালিস করেছিলেন বাবলু। এ কারণে একটি পক্ষের সঙ্গে তাঁর শত্রুতা সৃষ্টি হয়েছিল।
চিকিৎসকদের বরাত দিয়ে বাবলুর স্ত্রী বলেন, ‘ভোঁতা অস্ত্র দিয়ে বাবলুর মাথার পেছনে আঘাত করা হয়েছে।’
দেউলাবাড়ি ইউপি চেয়ারম্যান সুজাত আলী খান বলেন, ‘বাবলু সরকার আমার পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান ছিলেন। ঘটনার ওই রাতেই পুলিশকে বিষয়টি অবগত করা হয়েছিল। ঘটনাস্থল অন্য উপজেলা হওয়ায় পুলিশ সুস্থ হলে পরবর্তী সময়ে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করার কথা বলেছিল।’
ঘাটাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজহারুল ইসলাম সরকার বলেন, ঘটনাটি তিনি শুনেছেন। ঘটনা সংশ্লিষ্ট থানায় অভিযোগ করলে আইন অনুযায়ী তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
Leave a Reply