নিজস্ব প্রতিনিধিঃ টাঙ্গাইল জেলার ভূঞাপুর উপজেলার পৌর এলাকার বামনহাটা উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রটি দির্ঘ সময় যাবৎ জরাজীর্ণ অবস্থায় পড়ে আছে।
স্বাস্থ্য কেন্দ্রটির বরাদ্দকৃত একশত শতাংশ জায়গা থাকলেও তা ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে আলাদা ৬টি স্থানে, যা সমন্বয় থাকাটা অত্যান্ত জরুরী। যার কারণে স্বাস্থ্য কেন্দ্রটির ভবন নির্মাণ কাজ শুরু করা হচ্ছে না। পৌর এই উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রটি প্রায় প্রতি মাসে ৩০০০ থেকে ৩৫০০ রোগী সেবা নিয়ে থাকে প্রতি মাসে। যা ভূঞাপুর সদর উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রের সমপর্যায়ের রুগীর সংখ্যা বলা চলে।
এখানে পশ্চিম ভূঞাপুর, রায়ের বাশালিয়া, বলারামপুর, খুপিপাড়া, বাগবাড়ী, জিগাতলা, গোবিনাথপুর, কুতুবপুর, ফলদা পাড়া, ভুইঁয়ারপাড়া, ফকিরপাড়া, বিশ্বনাথপুরসহ আরও অনেক নিগৃহীত চরাঞ্চল গুলো থেকে হাজার রোগী সেবা নিতে আসেন। ফলে রোগীর সংখ্যার পরিমান ওষুধ কেন্দ্রটিতে না আসায় সেবা দিতে ব্যার্থ হচ্ছে প্রতিনিয়ত।
তৎকালীন এরশাদ থাকা কালীন সময়ে নির্মিত প্রতিষ্ঠানটি আর কোন বড় ধরনের সংস্কার এলাকাবাসী লক্ষ্য করেনি। মূলরাস্তা থেকে ৮ ফুট নিচুতে এবং পিছনে প্রাইমারী স্কুলের মাঠ ৩ফুট উঁচুতে থাকার দরুন, সমান্য বৃষ্টি হলেই কেন্দ্রেটির ভিতরে অতি সহজেই পানি প্রবেশ করে কক্ষ গুলো ব্যবহার অযোগ্য হয়ে পড়ে!
উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রটিতে কর্মরত ৪টি পদ থাকলেও মেডিকেল অফিসার পদটি শূণ্য রয়েছে এবং উপ-সহকারী মেডিকেল অফিসার ডেপুটেশনে রয়েছেন দির্ঘ দিন যাবৎ, এবং বর্তমানে প্রতিনিয়ত উপস্থিত থেকে দুর-দুরান্ত থেকে আসা রোগীর স্বাস্থ্য সেবা দিয়ে যাচ্ছেন ফার্মাসিস্ট মোছাৎ হাসিনা বেগম ও অফিস সহায়ক মোঃ নাছির হায়দার খাঁন।
গত সোমবার (৫ সেপ্টেম্বর) সরেজমিনে পরিদর্শনে স্বাস্থ্য কেন্দ্রটিতে গেলে, দেখা যায় বহু পুরানো একটি টিনসেট বিল্ডিং যা দির্ঘ সময় সংস্কার করা হয়নি। ফার্মাসিস্ট মোছাৎ হাসিনা বেগম জানান, যার কারনে টিনের ফুটো দিয়ে পানি পড়তে থাকে, রোগী সেবার জায়গাটি ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়ে।
আরও দেখা যায়, অযাচিত গাছে পরিপূর্ণ কেন্দ্রটির সামনে ও পাশের অংশটি, স্টোর রুমে অবস্থা বেহালদশা, আলমারী ভাঙ্গা, কোন টিউবয়েল ও পানির সরবরাহের ব্যবস্থা নেই, টয়লেটটি ব্যবহার অনুপযোগী।
স্থানীয়রা জানান, বামনহাটা উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রটি অনেকদি যাবৎ বেহাল ভাবে পড়ে রয়েছে। এই স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি সংস্কার করা হলে, রোগী সেবা সহজতর ও মান বৃদ্ধি পাবে।
Leave a Reply