নিজস্ব প্রতিনিধিঃ টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার দেউলাবাড়ি ইউপি সদস্য বাবলু সরকার হত্যায় মামলা হয়েছে। তাঁর ছেলে নাজমুল হোসেন মেহেদি গত শনিবার রাতে সাতজনকে আসামি করে থানায় হত্যা মামলা করেছেন। আসামি জায়েদুর রহমান রিপন ও মিজানুর রহমানকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রোববার (৪ সেপ্টেম্বর) তাদের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
মামলার এক নম্বর আসামি রিপন (৪৫) ঘাটাইল উপজেলার পাকুটিয়া গ্রামের বাসিন্দা। মিজানুর রহমান (৪০) রসুলপুর গ্রামের আমতলী এলাকার বাসিন্দা।
গত ২৫ আগস্ট বিকেলে বাবলু সরকারকে মোবাইল ফোনে ডেকে পাকুটিয়া এলাকায় নিয়ে যান জায়েদুর রহমান রিপন। সেখান থেকে রিপন ও তাঁর বোন শামসুন্নাহারের মধ্যে জমি নিয়ে বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য রাত ৮ টার দিকে মামলার অন্য আসামিদের সঙ্গে বাসে করে টাঙ্গাইলের উদ্দেশে রওনা দেন বাবলু।
পরে রাত ৯টার দিকে অজ্ঞাত পরিচয় লোকের ফোন পেয়ে পরিবারের সদস্যরা টাঙ্গাইলের মির্জাপুর কুমুদিনি হাসপাতলে গিয়ে তাঁকে আহত অবস্থাত দেখতে পান।
আহত অবস্থায় বাবলু পরিবারের লোকদের জানান, মামলার আসামিরা গাড়িতে তাঁকে মারধর করেছেন। পরে কোথায় ফেলে গেছেন, জানেন না। পথচারীরা উদ্ধার করে তাকে কুমুদিনি হাসপাতলে ভর্তি করে। পরে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে গত ১ সেপ্টেম্বর রাতে তাঁর মৃত্যু হয়।
এর আগে পাঞ্জানার আব্দুল খালেকের নাম বলে গেছেন তিনি, যা মোবাইল ফোনে ভিডিও করে রাখেন তার ভাতিজা আবু সাইদ। মামলায় আব্দুল খালেক তিন নম্বর আসামি।
ঘাটাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজহারুল ইসলাম সরকার বলেন, হত্যার রহস্য উদ্ঘাটন ও অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
Leave a Reply