নিজস্ব প্রতিনিধিঃ গার্মেন্টস কর্মী পাঁচদিন ধরে নিখোঁজ এরপর তার বাবা ৯৯৯-এ ফোন দিয়ে আটকে থাকা মেয়েকে উদ্ধার করেন টাঙ্গাইলের মির্জাপুর থানা পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) বিকেলে উপজেলার আজগানা ইউনিয়নের বেলতৈল গ্রামের বিল্লাল মিয়ার বাড়ি থেকে ওই গার্মেন্টস কর্মীকে উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনার সাথে জড়িত বিল্লাল মিয়ার স্ত্রী সাহিদা বেগম (৪৮) কে আটক করে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ১ বছরের কারাদন্ড দেয়া হয়।
জানা গেছে, আজগানা ইউনিয়নে পাশ্ববর্তী এলাকায় ওই গার্মেন্টস কর্মীর বাড়ি। গত শনিবার বিকেলে রাস্তা দিয়ে হাটতে ছিলেন গার্মেন্টস কর্মী। পরে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে অভিযুক্ত সাহিদা তাকে বেলতৈল গ্রামে নিয়ে আসে। বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার পর নেশা জাতীয় ঔধুষ খাওয়ানো হয়। তারপর থেকেই গার্মেন্টস কর্মী অচেতন অবস্থায় ঘুমিয়ে যায়। টানা পাঁচ দিন এভাবেই তাকে নেশা জাতীয় ঔধুষ খাওয়ানো হতো। গার্মেন্টস কর্মীর খোঁজ না পেয়ে ৯৯৯-এ ফোন করে তার বাবা। এরপর পুলিশ গিয়ে তাকে উদ্ধার করে।
এ ব্যাপারে মির্জাপুর থানার উপ-পরিদর্শক মো. সোহেল মিয়া বলেন, ৯৯৯-এ ফোন পেয়ে ওই মেয়েটি উদ্ধার করি। ঘটনার সাথে জড়িত সাহিদা বেগমকে আটক করে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে সহকারি কমিশনার ভূমি ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আমিনুল ইসলাম বুলবুল স্যার তাকে ১ বছরের কারাদন্ড প্রদান করেন। অভিযুক্তকে শুক্রবার টাঙ্গাইল জেল হাজতে পাঠানো হয়। উদ্ধারকৃত মেয়েকে তার বাবার কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
Leave a Reply