দ্বিতীয়বারের মতো বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নির্বাচিত ফজলুর রহমান খান ফারুক

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ টাঙ্গাইল জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি একুশে পদকপ্রাপ্ত ফজলুর রহমান খান ফারুক দ্বিতীয়বারের মতো বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন। কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী না থাকায় এ পদে নির্বাচন হবে না।

জেলা সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা এএইচএম কামরুল হাসান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, চেয়ারম্যান পদে একজনই প্রার্থী। আগামী ২৫ সেপ্টেম্বর মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের পর আনুষ্ঠানিকভাবে তাকে বিজয়ী ঘোষণা করা হবে। ১৫ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার ছিল মনোনয়নপত্র সংগ্রহ ও জমাদানের শেষ দিন। তিনি আরো বলেন, জেলার ১২টি, উপজেলার ১২টি সাধারণ সদস্য পদে ৪৯ জন এবং চারটি সংরক্ষিত নারী সদস্য পদে ১২ জন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।

এদিকে, বৃহস্পতিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) দলীয় প্রার্থীকে সমর্থন জানিয়ে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ান একমাত্র স্বতন্ত্র প্রার্থী শহর আওয়ামী লীগ নেতা ও জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য আহমেদ সুমন মজিদ। তিনি তার প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নেন। সুমন জেলা আওয়ামী লীগের নিহত নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমদের বড় ছেলে।

এর আগে ফজলুর রহমান খান ফারুক ছাড়া আরও দুজন দলীয় মনোনয়ন ক্রয় করেছিলেন। তারা হলেন- জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আলমগীর খান মেনু ও শামসুল হক। তারাও ফজলুর রহমান খান ফারুককে সমর্থন দিয়ে দলের পক্ষে কাজ করছেন।

মঙ্গলবার দুপুরে রিটার্নিং কর্মকর্তা জেলা প্রশাসক ড. আতাউল গনি ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা এএইচএম কামরুল হাসানের কাছে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দেন।

এসময় জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট জোয়াহেরুল ইসলাম এমপি, ছানোয়ার হোসেন এমপি, তানভীর হাসান ছোট মনির এমপি, টাঙ্গাইল পৌরসভার মেয়র এসএম সিরাজুল হক আলমগীর, যুবলীগের কেন্দ্রীয় প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাডভোকেট মানুনুর রশিদ, সাবেক ছাত্রনেতা মুরাদ সিদ্দিকী ও পৌরসভার সাবেক মেয়র জামিলুর রহমান মিরনসহ আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনগুলোর নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ ফজলুর রহমান খান ফারুক ২০১৬ সালে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। তার আগে তিনি জেলা পরিষদের প্রশাসক ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ফারুক ১৯৭০ সালে গণপরিষদ এবং ১৯৭৩ সালে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি মনোনয়ন পাওয়ায় টাঙ্গাইলের নেতাকর্মীরা আনন্দিত। ফজলুর রহমান খান ফারুকের একমাত্র ছেলে খান আহমেদ শুভ টাঙ্গাইলের মির্জাপুর আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য।

বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হওয়ায় দলের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা নবনির্বাচিতকে অভিনন্দন জানাচ্ছেন। টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের অন্যতম সদস্য ও এফবিসিসিআই এর পরিচালক আবু নাসের বলেন, টাঙ্গাইলের রাজনীতিতে শ্রদ্ধেয় জননেতা ফজলুর রহমান খান ফারুক জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী হওয়ায় জেলাবাসী আনন্দিত।

ফজলুর রহমান খান ফারুক বলেন, আমি বঙ্গবন্ধুর স্নেহ পেয়েছি। আমার রাজনৈতিক জীবন ধন্য। জাতির আদর্শ বুকে ধারণ করে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে রাজনীতি করি দেশ ও মানুষের কল্যাণে। আমাকে মনোনয়ন দেওয়া ও বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী করায় দলের কাছে কৃতজ্ঞ। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গঠনে নিজেকে সদা নিয়োজিত রাখবো।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     এ বিভাগের আরো সংবাদ
Share via
Copy link
Powered by Social Snap