দেলদুয়ারের আতিয়া এখন পাঙ্গাস গ্রাম হিসেবে পরিচিতি

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ টাঙ্গাইলের দেলদুয়ার উপজেলার আটিয়া গ্রামের দুই শতাধিক পরিবার জীবিকা নির্বাহের জন্য পাঙ্গাস মাছের ওপর নির্ভরশীল। পাঙ্গাসের গ্রাম হিসেবে নতুন পরিচয় পেয়েছে আটিয়া গ্রাম। এ গ্রামের পাঙ্গাস মাছের খ্যাতি চারদিকে ছড়িয়ে পড়েছে। জেলার নিম্ন মধ্যবিত্ত ও মধ্যবিত্ত মানুষের মাংসের চাহিদা মেটাচ্ছে আতিয়ার পাঙ্গাস। এই গ্রামের সবাই এখন অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী।

টাঙ্গাইলের দেলদুয়ার উপজেলার আতিয়ারের ঘরে ঘরে পাঙ্গাস চাষিরা। এ গ্রামের দেড় শতাধিক পুকুরে এখন পাঙ্গাস চাষ হচ্ছে। গ্রামের প্রায় দুই শতাধিক পরিবার প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে পাঙ্গাস চাষের সাথে জড়িত, পোনা মজুদ, পাঙ্গাস চাষ, মাছ ধরা এমনকি বাজারে বিক্রির প্রতি মনোযোগী। গ্রামের অধিকাংশ পরিবার এখন পাঙ্গাস চাষে আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী। পুকুরের মাটি ও পানির গুণমান এবং পাঙ্গাস জেলায় চাষ করা পুষ্টিকর খাবার মানুষের আস্থা নষ্ট করেছে। এ কারণে আতিয়া গ্রাম পাঙ্গাস গ্রাম হিসেবে নতুন পরিচিতি পেয়েছে। এ অঞ্চলের পাঙ্গাস মাছ স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় যাচ্ছে। তবে গত কয়েক বছরে ধীরে ধীরে খাদ্যের দাম বাড়ায় কৃষকদের লভ্যাংশ কমেছে।

আটিয়া গ্রামের পাঙ্গাস মাছ চাষিরা জানান, খাদ্যের দাম কমানো, মাছের সুষ্ঠু বাজার ব্যবস্থাপনাসহ সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা বাড়ানো এই সময়ে জরুরি।

এ বিষয়ে দেলদুয়ার উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আতিয়ার রহমান বলেন, উপজেলা মৎস্য অফিস পাঙ্গাস মাছ চাষীদের ব্যাংক ঋণ, প্রশিক্ষণসহ বিভিন্ন ধরনের সহায়তা দিচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     এ বিভাগের আরো সংবাদ
Share via
Copy link
Powered by Social Snap