নিজস্ব প্রতিনিধিঃ টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে সখিনা আক্তার (৪২) নামের এক নারীকে শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় পুলিশ ওই নারীর সাবেক স্বামীসহ দুজনকে আটক করেছে।
সোমবার (২৬ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার বাশতৈল ইউনিয়নের বাশতৈল পশ্চিম পাড়ার বসতঘর থেকে ওই নারীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
আটকরা হলেন-সখিনার সাবেক স্বামী বাশতৈল গ্রামের নুরুল ইসলামের ছেলে মফিজুর রহমান (৪৭) এবং একই গ্রামের বাহার উদ্দিনের ছেলে লেবু মিয়া (৫০)।
জানা যায়, গত পাঁচ বছর আগে ওই নারীর তালাক হয়। এরপর থেকে দুই মেয়ে ও এক ছেলে নিয়ে বসবাস করতেন। মেয়ে দু’জনের বিয়ে হয়েছে। ছেলে বিয়ের পর বিদেশে চলে গেছে। ছেলে বিদেশে যাওয়ার পর থেকে ছেলের বউ আর তিনি বসবাস করতেছিলেন।
রোববার (২৫ সেপ্টেম্বর) ছেলের বউ বাপের বাড়িতে বেড়াতে যাওয়ায় সখিনা রাতে একা ছিলেন। সোমবার অনেক বেলা হলেও সখিনাকে না দেখে পার্শ্ববর্তী বাড়ির লোকজন খোঁজ করতে আসে। পরে ঘরের ভেতরে তার মরদেহ দেখতে পায়। খবর পেয়ে বাশতৈল ফাঁড়ি পুলিশ তার মরদেহ উদ্ধার করে। পরে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। সখিনার গলায় রশির দাগ এবং গলার ডান পাশে কালো দাগ আছে বলে পুলিশ জানায়।
সখিনার মা আকিরন বেগম অভিযোগ করে বলেন, ‘আমার মেয়ে আত্মহত্যা করে নাই। ওকে হত্যা করা হইছে। আমি সুষ্ঠু বিচার চাই।’
স্থানীরা জানায়, ছেলের বউ বাবার বাড়িতে বেড়াতে যাওয়ায় রোববার রাতে সখিনা বাড়িতে একা ছিলেন। এ সুযোগে হয়তো কেউ তাকে হত্যা করতে পারে।
বাঁশতৈল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক সাখাওয়াত হোসেন বলেন, নারীর মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। নিহতের গলায় রশির দাগ ও গলার ডান পাশে কালো দাগ রয়েছে। তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
Leave a Reply