নিজস্ব প্রতিনিধিঃ শীত মৌসুম। এ সময়টা গ্রাম অঞ্চলে নানা রকমের পিঠা আয়োজনে মুখর থাকে প্রতিটা বাড়িতে। ইষ্টি-কুটুম বাড়িতে আসলে বা ঘরোয়া পরিবেশে আয়োজন করা হয় নানা স্বাদের পিঠা। হৈ-হুল্লোড় পরিবার-স্বজনরা অংশ নেয় পিঠা আয়োজন।
কিন্তু সমাজের ছিন্নমূল ও সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের এসব পিঠার আয়োজন থেকে বঞ্চিত থাকতে তাদের স্বজন না থাকায়। খাওয়াও হয় না শীতের পিঠা। টাকার অভাবে যেতেও পারেন না কোন পিঠা উৎসব অনুষ্ঠানে। থাকতে হয় অবহেলিত।
এসব সুবিধাবঞ্চিত পথশিশুদের জন্য এক ব্যতিক্রমী পিঠা উৎসবের আয়োজন করেছেন টাঙ্গাইলের স্থানীয় ‘দশমিক’ নামে তরুণদের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। এ সংগঠনের তরুণ শিক্ষার্থীরা তাদের হাত খরচের টাকায় পিঠা উৎসব আয়োজন করেন।
পিঠা উৎসবে ছিল- চিতোই পিঠা, বাপা পিঠা, পাটিসাপটা, পুলি পিঠা, নকশি পিঠা, তেলে পিঠাসহ আরও কয়েক ধরণের আঞ্চলিক পিঠা। এতে অংশ নেন নানা শ্রেণির প্রায় অর্ধশতাধিক সুবিধা বঞ্চিত ছিন্নমূল পথশিশু।
পিঠা উৎসবে অংশ নেন- হিউম্যান রাইটস্ রিভিউ সোসাইটি টাঙ্গাইল জেলা শাখার সভাপতি রাশেদ খান মেনন, স্থানীয় সংগঠন মানুষের ক্যালাণে মানুষ ফাউন্ডেশনের সভাপতি পারুল মাহাবুব খান, দশমিক ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা মিনারুল ইসলাম প্রমুখ।
এছাড়াও সংগঠনের সহ-সভাপতি আশিকুর রহমান, মহাসচিব আমেনা আক্তার তিলোত্তমা, সাংগঠনিক সম্পাদক প্রাপ্ত সাহা, কোষাধ্যক্ষ নিলয় সাহা, চিকিৎসা বিষয়ক সম্পাদক ত্রিজান চৌহান, জয় সাহাসহ অন্যান্য সদস্যরা অংশ নেন।
আয়োজকরা বলেন, দশমিক ফাউন্ডেশন এর অতিথি ভোজনের অংশ হচ্ছে এই পিঠা উৎসব। ছিন্নমূল শিশুরাই আমাদের বিশেষ অতিথি। সুবিধা বঞ্চিত ছিন্নমূল শিশুরা এসব কিছু মুখোরোচক পিঠা থেকে হয়তো বঞ্চিত থাকে।
তাই শিশুদের সাথে দশমিক পাঠশালাতে যেমন শিশুদের বিনামূল্যে শিক্ষাদানে সময় দেয়া হয়, ঠিক তেমনি শিশুদের জন্য বিভিন্ন আয়োজন করা হয়। আমরা ভিন্ন স্বাদে শীতের বিভিন্ন মুখোরোচক পিঠার আয়োজন করেছি তাদের জন্যে। আগামীতে আরও বড় পরিসরে এ ধরণের আয়োজন করা হবে।
Leave a Reply