নিজস্ব প্রতিনিধিঃ টাঙ্গাইলের সখীপুরে স্বামীর বিরুদ্ধে স্ত্রীকে তালাক নামায় জোরপূর্বক স্বাক্ষর করানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিচার চেয়ে স্ত্রী মৌসুমী কেয়া নিশি সখীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। উপজেলার গজারিয়া ইউনিয়নের পাথারপুর গ্রামের আলম মিয়ার ছেলে জসিমের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ ওঠেছে।
জানা যায়, গত ২০১৯ সালের ২৪ জুন প্রেমের সূত্র ধরে নোয়াখালী জেলার চটখিল উপজেলার শ্রীনগর গ্রামের গোলাম মোস্তফার মেয়ে মৌসুমী কেয়া নিশির সঙ্গে সখীপুর উপজেলার গজারিয়া ইউনিয়নের পাথারপুর গ্রামের আলম মিয়ার ছেলে জসিম উদ্দিনের ৬ লাখ টাকা দেনমোহরে বিয়ে হয়। বিয়ের আড়াই বছর পর স্ত্রীকে নানাভাবে শারিরীক ও মানসিক জ্বালাযন্ত্রনা দেয়া শুরু করেন স্বামী জসিম উদ্দিন। এ ঘটনায় থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে স্বামী, শ্বশুর -শ্বাশুড়িসহ চারজনকে আসামি করে মামলা করেন নিশি। পরে গত ২১ জুন স্বামী জসিম উদ্দিন ও তার লোকজন তাকে মারপিট করে তালাক নামায় স্বাক্ষর নেন।
এ ব্যাপারে স্ত্রী মৌসুমী কেয়া নিশি বলেন, গত ২১ জুন আমার স্বামী জসিম উদ্দিন ও তার লোকজন মারপিট করে জোরপূর্বক আমার মতের বিরুদ্ধে তালাক নামায় স্বাক্ষর নিয়ে আমাকে তাড়িয়ে দেন।
স্বামী জসিম উদ্দিনের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, মামলরা তদন্তকারী কর্মকর্তাসহ উপস্থিত ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে কাজীর মাধ্যমে নিশি তার দেনমোহরের ৬ লাখ টাকা হাতে বুঝে নিয়ে নিজ ইচ্ছায় তালাক নামায় স্বাক্ষর করে চলে যান।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারজানা আলম লিখিত অভিযোগ পাওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, অচিরেই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Leave a Reply