সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, আবাদি জমি ও পুকুরের পাড় ঘেঁষা সাড়ে তিনশত শবরি কলাসহ গাছ কেটে ফেলে রেখেছ। তার ভিতর দিয়ে কিছু আকাশমনি গাছের চাড়াও কাটা হয়েছে। এছাড়া প্রস্তাবিত একটি এতিমখানার টিনের ঘর ভেঙে গুড়িয়ে ফেলে রেখে গেছে। বাঁধা দিতে গেলে আহত হয় সিরাজুল ইসলাম খান (৬৩), স্ত্রী আনোয়ারা (৫৫), মেয়ে শিমু (১৩) ছেলে আজাহারুল ইসলাম (২৫), আনোয়ার খান (৩২), ও হাবীবুর রহমান (৪৬) আহত হয়। আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে চিকিৎসা করা হয়। এ ঘটনায় সিরাজুল ইসলাম খান বাদী হয়ে সহোদর আলমগীর খান, আমিনুল ইসলাম খান, হায়দার আলী খান, ভাতিজা আবু সাঈদ খান, হান্নান (বাবুল), হারুন অর রশিদ (শাহীন), মান্নান (বুলবুল), নিরব খান, শামসুন্নাহার মেরী, মিলি আক্তারসহ ৪০/৫০ জনের নামে সখীপুর থানায় মামলা দেয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে।
সিরাজুল ইসলাম খান বলেন, আমার নানা ২৮০ শতাংশ জমি এলাকায় মসজিদ, এতিমখানার জন্য ১৯৬৩ সালে ওয়াকফ করে দিয়ে যান সেই জমি আমার ভাই ভাতিজারা মিলে দখল করতে চায়। যে কারনে পরিকল্পিত ভাবে তারা প্রায় শতাধিক লোক এসে সাড়ে তিনশত কলাসহ গাছ, আকাশ মনির গাছ কেটে ফেলে, ২০ হাত একটি টিনের ঘর ভেঙে দেয় এবং পুকুরের বাঁধ ভেঙে দিয়ে মাছ ছেড়ে দেয়। এসময় আমি ও আমার পরিবার বাঁধা দিতে গেলে তাদের হামলায় আহত হই।
এ বিষয়ে সহোদর আমিনুল ইসলাম খান বলেন, আমাদের জমি সিরাজুল ইসলামের দখলে আছে সেই জমি নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়। এ সময় ওরাই আমাদের উপর আক্রমন করে।আমি নিজেও আহত হয়ে হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসা নিয়েছি।
সখীপুর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এ কে সাইদুল হক ভূঁইয়া বলেন, ৯৯৯ এ ফোন পেয়ে ঘটনা স্থলে পুলিশ পাঠিয়েছিলাম। ওটা তাদের ওয়াকফকৃত জমি। এ নিয়ে তাদের আপন ভাইয়েদের মধ্যে আদালতে একাধিক মামলা রয়েছে।
Leave a Reply