নিজস্ব প্রতিনিধিঃ টাঙ্গাইলের সখীপুরে লাইসেন্স বিহীন মাদকাসক্ত নিরাময় কেন্দ্রে মোঃ মিলন মিয়া (২২) নামের এক মাদকাসক্তের মৃত্যু হয়েছে। রবিবার রাত ১০টায় মুমূর্ষু অবস্থায় মিলনকে সখীপুর উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরিবারের দাবি নিরাময় কেন্দ্রেই মিলনকে নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে। উপজেলার ‘‘সখীপুর প্রতীমাবংকী মাদকাসক্ত পরামর্শ ও চিকিৎসা কেন্দ্র’র বিরুদ্ধে এ অভিযোগ ওঠেছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায় ওই নিরাময় কেন্দ্রের কোন লাইসেন্স এবং নিয়োগপ্রাপ্ত চিকিৎসক নেই।
জানা যায়, গত ৩০ জুলাই ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ডের আন্তাজ আলীর ছেলে মাদকাসক্ত মিলন মিয়াকে ‘‘সখীপুর প্রতীমাবংকী মাদকাসক্ত পরামর্শ ও চিকিৎসা কেন্দ্রে ভর্তি করা হয়। গত তিনমাসে মিলনের কোন শারিরীক অসুস্থ্যতার খবর তার পরিবারকে দেওয়া হয়নি। হঠাৎ করে রবিবার রাত ১১টায় মিলনের মাকে জানানো হয় তার ছেলে অসুস্থ তাকে হাসপাতালে আছে। কিন্তু মা হাসপাতালে এসেই ছেলের লাশ দেখতে পান।
মিলনের মা কল্পনা বেগম বলেন, মাসিক খরচ দিতে আসলেই মিলন আমার কানে কানে তাকে খাবারে ও শারিরীক নির্যাতনের কথা বলত। তার দাবি মিলনকে নিরাময় কেন্দ্রেই নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে।
মিলনের বাবা আন্তাজ আলী বলেন, মিলনের কোন অসুখ ছিলনা তাকে এই কেন্দ্রেই নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে আমরা তাদের বিচার চাই।
‘‘সখিপুর প্রতীমাবংকী মাদকাসক্ত পরামর্শ ও চিকিৎসা কেন্দ্র’র পরিচালক নূরুল ইসলাম খান লরেন্স বলেন, শ্বাসকষ্টজনিত কারনে তাকে রবিবার রাত ১০টার দিকে সখীপুর উপজেলা স্বাস্থকমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে তার মৃত্যু হয়। নিরাময় কেন্দ্রের লাইসেন্স এবং নিয়োগপ্রাপ্ত চিকিৎসকের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, লাইসেন্সের জন্য আবেদন করা হয়েছে। তিনি জানান, কোন চিকিৎসককে নিয়োগ দেওয়া হয়নি তবে কেউ অসুস্থ্য হলে ডা. নাফিজ হাসান রোজ এসে রোগী দেখে যান।
ডা. নাফিজ হাসান রোজের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা তিনি তা অস্বীকার করে বলেন, আমি ওই নিরাময় কেন্দ্রের নিয়োগপ্রাপ্ত চিকিৎসক নই এবং কখনো যায়নি।
সখীপুর থানা উপ-পরিদর্শক এসআই মজিবর বলেন, লাশের প্রাথমিক সুরতহাল শেষে ময়না তদন্তের জন্য টাঙ্গাইল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
Leave a Reply