ভূঞাপুরে স্কুল ছাত্রীকে অপহরণের পর ধর্ষণের অভিযোগে দুইজন গ্রেফতার

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে প্রেমের সম্পর্কে সনাতন ধর্মের ৮ম শ্রেণিতে পড়ুয়া এক স্কুল ছাত্রীকে ভাই-ভাবি ও চাচার সহযোগিতায় রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে অপহরণের পর ধর্ষণের অভিযোগে প্রধান অভিযুক্ত আসামি মিরাজ (১৪) ও তার বড় ভাই সুমন (২২) নামে দুইজনকে গ্রেফতার এবং স্কুলছাত্রীকে উদ্ধার করেছে ভূঞাপুর থানা পুলিশ।

শনিবার (৮ অক্টোবর) রাতে স্কুল ছাত্রীর মা ভূঞাপুর থানায় বাদী হয়ে চার জনের নামে একটি অপহরণ মামলা দায়ের পর অপহরণের ঘটনায় অভিযান চালিয়ে সোমবার (১০ অক্টোবর) রাতে উপজেলার অলোয়া ইউনিয়নের নলুয়া তাদেরকে গ্রেফতার এবং ওই স্কুলছাত্রীকে উদ্ধার করে পুলিশ।

সোমবার (১১ অক্টোবর) বিকালে ভূঞাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ ফরিদুল বিষয়টি নিশ্চিত এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এরআগে গত শুক্রবার (৭ অক্টোবর) অপহরণ হয় ওই স্কুলছাত্রী।

অভিযুক্ত প্রধান আসামি মিরাজ ও সহযোগিতা তাই বড় ভাই উপজেলা পৌর এলাকার পলিশা গ্রামের হাসমত আলীর ছেলে। মিরাজ টেপিবাড়ী উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণির শিক্ষার্থী ও ভুক্তভোগি ওই স্কুলছাত্রী তার সহপাঠী।

স্কুলছাত্রী জানায়, একই বিদ্যালয়ে পড়ার সুবাদে মিরাজ আমাকে বিভিন্ন সময় প্রেমের প্রস্তাব দিত। একপর্যায়ে প্রেমের ফাঁদে ফেলে বড় ভাই সুমন, ভাবি লাবণ্য ও তার চাচা মনিরুজ্জামানের সহায়তায় তাকে রাস্তা থেকে তুলে নেন।

এরপর তুলে নিয়ে প্রথমে গাজীপুরের টঙ্গী এবং পরে সাভার তাদের এক আত্মীয়ের বাড়িতে নিয়ে যায়। টঙ্গীতেই মিরাজের সাথে আমার বিয়ে দেওয়া হয়। তারপর থেকে এক সাথেই আমরা সাভার ও গাজীপুরে থেকেছি। পরে নলুয়াতে আসলে পুলিশ আমাদেরকে ধরে থানায় নিয়ে আসেন।

এ ঘটনায় স্কুলছাত্রীর মা জানান, আমার নাবালিকা মেয়েটিকে ফুঁসলিয়ে অপহরণের পর মেয়ের সর্বনাশ করে মিরাজ। পরে মিরাজসহ চারজনকে আসামি করে থানায় মামলা করলে পুলিশ অপহরণকারী মিরাজ ও তার ভাইকে গ্রেফতার করে এবং আমার মেয়েকে উদ্ধার করে। আসামিদের কঠোর শাস্তি দাবি করছি।

এ ব্যাপারে ভূঞাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ ফরিদুল বিষয়টি নিশ্চিত করে ইসলাম জানান, তথ্য প্রযুক্তির সহযোগিতায় মেয়েটিকে উদ্ধারসক অভিযুক্ত প্রধান আসামি মেরাজ ও সহযোগী তার বড় ভাইকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মেয়েটি ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়।

তিনি আরও জানান, এছাড়া পরে ডাক্তারি পরীক্ষা শেষে মেয়েটির ২২ ধারায় জবানবন্দির জন্য টাঙ্গাইল কোর্টে প্রেরণ করা হয়েছে। একইসঙ্গে গ্রেফতারকৃকত প্রধান অভিযুক্ত মিরাজসহ সহযোগী তার দুই ভাইকেও কোর্ট হাজতে প্রেরণ করা হয়। অভিযুক্ত বাকি দুই আসামিকে গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     এ বিভাগের আরো সংবাদ
Share via
Copy link
Powered by Social Snap