নিজস্ব প্রতিনিধিঃ টাঙ্গাইলের পাহাড়ী ও সমতল অঞ্চলে বানিজ্যিক কুল বাগান গড়ে তুলেছেন অনেক উদ্যোক্তা। কুল বিক্রি করে আর্থিকভাবে সাবলম্বী হচ্ছেন তারা। একজনের সাফল্য দেখে আরেকজন গড়ে তুলছেন কুল বাগান। এভাবেই সারা জেলায় বৃদ্ধি পাচ্ছে বানিজ্যিক কুল বাগান।
চাকরী নামক সোনার হরিণের পেছনে না ছুটে কৃষি বিভাগের সহযোগিতায় শিক্ষিত মানুষেরা টাঙ্গাইলের পাহাড়ী ও সমতল অঞ্চলের এক সময়ের পরিত্যাক্ত জমিগুলোতে গড়ে তুলছেন বানিজ্যিক কুল বাগান। নিজ জমিতে ও অন্যের জমি লিজ নিয়ে তারা গড়ে তুলেছেন কুল বাগান। এখানকার মাটি ও আবহাওয়া কুল চাষের ব্যাপক উপযোগী। চারা রোপনের এক বছরের মধ্যেই গাছে কুল আসতে শুরু করে। ফল ও গাছে ব্যবহার করা হয়না মানববদেহের জন্য ক্ষতিকর কোন কীটনাশক বা কেমিকেল। কুল বিক্রি করে ইতিমধ্যে আর্থিকভাবে ব্যাপক সফলতা পেয়েছেন তারা। ইতোমধ্যে একেকজন উদ্যোক্তা লক্ষাধিক টাকার কুল বিক্রি করেছেন। দেশী টক জাতের কুলের পাশাপাশি কাশ্মিরী জাতের আপেল কুলসহ মিষ্টি অনেক জাতের কুল চাষ হচ্ছে টাঙ্গাইলের বিভিন্ন অঞ্চলে। স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে টাঙ্গাইলের বিভিন্ন অঞ্চলে উৎপাদিত কুল বিক্রির জন্য যাচ্ছে রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায়।
চাষীরা বলেন, কুল চাষ করে একজনের সফলতার খবরে অনেকেই এসব বাগান দেখতে আসছেন। অল্প পুঁজি ও কম পরিশ্রমে কুল বাগান করে একজনের সফলতা দেখে আরেকজন নিজ উদ্যোগে কুল বাগান গড়ে তুলতে আগ্রহ প্রকাশ করছেন। এভাবেই টাঙ্গাইলে বৃদ্ধি পাচ্ছে বানিজ্যিক কুল বাগান। বাগান মালিকের পাশাপাশি কুল বাগনে কাজ করছেন অনেক শ্রমিক। এতে সৃষ্টি হয়েছে ব্যাপক কর্মসংস্থানের। এখান থেকে বেতন পেয়ে ভালোভাবে সংসার চালাচ্ছেন শ্রমিকরা।
নাগরপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল মতিন বিশ্বাস বলেন, জেলায় শতশত বানিজ্যিক কুল বাগান গড়ে উঠেছে। প্রতিটি বাগানেই চলতি মৌসুমে কুলের ব্যাপক ফলন হয়েছে। কৃষি বিভাগ কুল চাষীদের প্রয়োজনীয় সহযোগিতা ও পরামর্শ দিচ্ছেন নিয়মিত। চাকরীর পেছনে না ছুটে দেশের কর্মক্ষম সকলেই যদি নিজ উদ্যোগে এভাইে নিজনিজ কর্মক্ষেত্র গড়ে তোলেন। তাহলে অতিদ্রুততম সময়েই দেশের বেকারত্ব সমস্যা চিরতরে দুর হবে। একইসাথে দেশ ও দেশের কৃষিখাত এগিয়ে যাবে সম্মৃদ্ধির পথে।
Leave a Reply