মধুপুরের প্রথম অনলাইন সংবাদপত্র

শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ০২:৪৯ অপরাহ্ন

First Online Newspaper in Madhupur

শিরোনাম :
টাংগাইলে আজ কারফিউ সকাল ৭টা হতে সন্ধা ৭টা পর্যন্ত শিথিল কোরিয়ান শিক্ষার্থীদের মাভাবিপ্রবি পরিদর্শন টাংগাইলে কারফিউ শিথিল করায় জনজীবন স্বাভাবিক হয়েছে মির্জাপুরে বিয়ের দাবিতে আওয়ামী লীগ নেতার বাড়িতে কলেজছাত্রীর অবস্থান টাংগাইলে আন্দোলনকারীদের জ্বালাও-পোড়াও হামলা-ভাঙচুর মামলায় গ্রেপ্তার ১৭৫ কলম্বিয়াকে হারিয়ে কোপার সর্বোচ্চ ১৬ বার চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা ঘাটাইলের সাগরদীঘি ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ বাসাইলে বন্যা ও নদী ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ মির্জাপুরে সাবেক প্রেসিডেন্ট হুসাইন মুহাম্মদ এরশাদ এর ৫ম মৃত্যু বার্ষিকী পালন টাংগাইলে কোট সংস্কারের দাবিতে স্মারকলিপি প্রদান

টাংগাইলে তরুণদের পাঞ্জাবি, তরুণীদর থ্রি-পিসে আগ্রহ বেশি

সংবাদ দাতার নাম
  • প্রকাশের সময় : মঙ্গলবার, ২ এপ্রিল, ২০২৪
  • ৭২ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ পাঞ্জাবি সব সময় ট্রেন্ডি পোশাক। এবার ঈদে ফ্যাশন হালে নতুন সংযোজন সিকোয়েন্সের পাঞ্জাবি। সুতা, হাত বা এমব্রয়ডারিতে কাজ করা এসব পাঞ্জাবিতে আগ্রহ দেখাচ্ছেন তরুণরা। উঠতি বয়সীদের কাছে স্ন্যাপ ও টপ বাটনের সলিড তথা একরঙা পাঞ্জাবি ভাল গ্রহণযোগ্যতা পাচ্ছে। তরুণীদের পছন্দ সুতি ও জর্জেট থ্রি-পিস, টু-পিস, লোন জাতীয় পোশাক। বাজারে এসব পোশাক বিক্রিও বেশি হচ্ছে। এরমধ্যে কাশ্মীরী লোন, গুজরাটি, আলিয়া কাট, নায়রা কাট, আফগানের কাটতি বেশি।

টাঙ্গাইলের ঈদ ও বৈশাখের বাজারে এবার সুতি কাপড়, তার ওপর হাল্কা কাজ এবং গ্রীষ্মকালে ঈদ বিবেচনায় এমন কাপড়েই ঝুঁকছে তরুণ-তরুণীরা। যার মধ্যে দেশীয় ব্রান্ডেই আস্থা বেশি দেখা যাচ্ছে। পরিবারের সব সদস্যদের জন্য একই রং ও প্রিন্টের পোশাকেরও বিক্রি বেড়েছে। ডিজাইনাররা বলছেন, এবারের ঈদের পাঞ্জাবির লেন্থ বিগত বছরগুলোর মতোই থাকবে। অর্থাৎ খুব বড়ও না, খুব ছোটও না। এই ঈদটা যেহেতু গ্রীষ্মের ভেতরে, তাই এবার হালকা রংই বেশি গুরুত্ব পাচ্ছে। ঋতুর কথা মাথায় রেখে এ সময়ের পাঞ্জাবিতে রয়েছে সাদা, গোলাপি, পেস্ট, ক্রিম, হলদে, নীল, লালচে, মেরুন, হালকা ফিরোজা, আকাশি, ধূসর প্রভৃতি রং বেশি ব্যবহার করা হয়েছে। কিন্তু তরুণদের মধ্যে গাঢ় রঙের পাঞ্জাবি কেনার আগ্রহ রয়েছে। আর মাত্র কয়েক দিন বাকি। ঈদকে সামনে রেখে জমে উঠেছে ঈদ বাজার। মার্কেট শপিং মল, বিভিন্ন ফ্যাশন হাউজে প্রতিদিনই পরিবার-পরিজন নিয়ে ভিড় বাড়ছে।

এবার ঈদে নতুন একটি ট্রেন্ড ও চালু হয়েছে তা হলো- পরিবারের সবাই একই রং ও প্রিন্টের কাপড় কেনা। বিভিন্ন ব্রান্ডও সেই সুযোগ লুফে নিয়েছে। তাদের সব আউটলেটে এমন পোশাক সাজিয়ে রেখেছে। এসব আউটলেটের বিপণন শাখার কর্মকর্তারা জানান, একটি পরিবার এক আউটলেটে এসে যেন সবার কাপড় কিনতে পারে সে চেষ্টা করা হয়েছে। ঈদকে কেন্দ্র করে কাপড়গুলো বেশ গর্জিয়াস ও রঙে ফেস্টিভ করা হয়েছে। কিন্তু এবার হালকা ও ভারি কাজ দুই-ই প্রাধান্য পাচ্ছে। অফ হোয়াইট, বিস্কুট, হালকা কমলা রং যেমন রয়েছে, আছে গাঢ় রঙের কাপড়ও। ট্রেন্ড বা ফ্যাশনের হাল সবসময় পরিবর্তন হতে থাকে। এক সময় গোল গলার পাঞ্জাবি বেশি দেখা যেত। এখন পাঞ্জাবিতে ব্যান্ড কলার ব্যবহার করা হচ্ছে। কলার ও কাফে বিভিন্ন ধরনের কারুকাজও থাকে। বিভিন্ন ফ্যাশন হাউস ঘুরে দেখা যায় ব্যান্ড কলারের পাশাপাশি হাইনেক, কাবলি, গোল গলা, স্যাট কলারের পাঞ্জাবিও রয়েছে। সারাবছরই গরমকে মাথায় রেখে ফ্যাশন হাউসগুলো পোশাক তৈরি করে থাকে। ঈদের পাঞ্জাবি তৈরিতেও বিভিন্ন ফ্যাশন হাউস ব্যবহার করেছে সুতি, লিনেন, ভিসকস, চেলি ও ব্যাম্বো সিল্ক ফেব্রিক ব্যবহার করেছে। একরঙা পাঞ্জাবিতে সুতি অথবা সিল্কের কাপড়ে পুঁতির কাজ। কখনো পাঞ্জাবি জুড়ে, কখনো বুকে ও হাতায় কাজ থাকা পাঞ্জাবিকে সিকোয়েন্স বলা হচ্ছে। বুকে ও হাতে সামান্য এমব্রয়ডারি করা পাঞ্জাবিও চলছে বেশ।

বিভিন্ন শো-রুমের কর্মকর্তারা জানান, আমরা সব বয়সী মানুষের কথা মাথায় রেখেই এবার কাপড় ডিজাইন করেছি। আমাদের আউটলেটগুলোও এবার সেভাবেই সাজানো হয়েছে। এখানে শিশু থেকে বৃদ্ধ সবার জন্যই বাহারী পোশাক রয়েছে। হাউসগুলো এখন বিভিন্ন ধারায় চলছে। কখনো ট্রেন্ডি, কখনো গতানুগতিক আবার ঐতিহ্যের বিষয়ও মাথায় রাখা হয়েছে। যে কারণে শুধু ট্রেন্ডিই চলছে আমি এমনটা বলব না। বিভিন্ন ফ্যাশন হাউজের বিক্রেতারা বলছেন, গরমের কথা মাথায় রেখে তরুণরা সেমি লং পাঞ্জাবি কিনছেন। এছাড়া ইন্ডি কটন, রাজশাহী সিল্ক পাঞ্জাবি বিক্রি হচ্ছে ৩৬০০-৪২০০ টাকায়। আর বাচ্চাদের জন্য সাধারণ কাজের পাঞ্জাবিও বিক্রি হচ্ছে।

প্রতি ঈদ বাজারে ভারতীয় সিরিয়াল ও বলিউডের একটি প্রভাব দেখা যায়। তবে এবার বাজারে কোনো ভাইরাল পোশাক দেখা যায়নি। যার ফলে কোনো একক পোশাকের পেছনে তরুণীদের ব্যাপক আগ্রহ নেই। বাজার ঘুরে দেখা গেছে, মেয়েদের সুতি, সিল্ক ও জর্জেট থ্রি-পিস, টু-পিস, লন জাতীয় পোশাক বেশি কিনছেন। কাশ্মীরী লন, গুজরাটি, আলিয়া কাট, নায়রা কাট, আফগান ড্রেস বিক্রি হচ্ছে বেশ। সুতির থ্রি-পিস দেড় হাজার টাকা থেকে ৬ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। টু-পিস ও ওয়ান-পিস ১৮০০ টাকা থেকে ৪ হাজার টাকায়। তবে সিল্ক ও জর্জেট কাপড়ের দাম একটু বেশি। করোনার কারণে পোশাক খাতে যে ধাক্কা লেগেছিল, তার প্রভাব ছিল দুই বছর। আশা করছি এবার ভালো বেচাকেনা হবে। ব্যবসায়ীরা আশা করছেন বড় ও ছোট সব উদ্যোক্তাই এবার ভালো ব্যবসা করবে।

সংবাদ টি ভালো লাগলে শেয়ার করুন

এ বিভাগের আরো সংবাদ
©2024 All rights reserved
Design by: POPULAR HOST BD
themesba-lates1749691102
Verified by MonsterInsights