মধুপুরের প্রথম অনলাইন সংবাদপত্র

শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ০৬:৫১ অপরাহ্ন

First Online Newspaper in Madhupur

শিরোনাম :
ভুঞাপুরে হিট‌স্ট্রো‌কে আক্রান্ত হ‌য়ে অসুস্থ্য শিক্ষার্থী সখীপুরে শাল-গজারি বনে এক মাসে ২৫ স্থানে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা নাগরপুরে তিনদিন ব্যাপী খাদ্যভিত্তিক পুষ্টি বিষয়ক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত ঘাটাইলে সংরক্ষিত বনাঞ্চল আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস করছে দুর্বৃত্তরা টাংগাইলে নায়ক মান্নার বাসা থেকে ৬ শত ২০ মিটার রাস্তার উন্নয়ন কাজের উদ্বোধন নাগরপুরের বীর মুক্তিযোদ্ধা লুৎফর রহমানের ইন্তেকাল ঘাটাইলে সড়ক দুর্ঘটনায় এক ব্যক্তি নিহত টাংগাইলে কম্বাইন্ড হারভেস্টার মেশিন বিতরন নাগরপুরে প্রবাসীকে হত্যার অভিযোগে দুইজন গ্রেফতার মাভিপ্রবিতে বিতর্কে জয়ী বিরোধী দল ‘ভগ্নমনস্কতা’

সখীপুরে তীব্র তাপপ্রবাহেও গজারি ও শাল বনে আগুন জ্বলছে

সংবাদ দাতার নাম
  • প্রকাশের সময় : বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪
  • ৩৩ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ তীব্র তাপপ্রবাহে মানুষ ও পশুপাখি হাঁসফাঁস করছে। অনেকে হিট স্ট্রোকসহ নানাবিধ রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। এই কঠিন সময়েও সখীপুরে গজারি ও শাল বনে আগুন জ্বলছে। এতে আবহাওয়া আরো উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। প্রশ্ন উঠছে গজারি ও শাল বনে এমন সময় আগুন দিচ্ছে কারা, আর কেনইবা দিচ্ছে। এই প্রশ্নের উত্তর জানা নেই কারো। সংরক্ষিত এসব বন কর্তৃপক্ষেরও অজানা এ প্রশ্নের উত্তর। প্রত্যেক বছরই চৈত্র ও বৈশাখ মাস এলেই সখীপুরের প্রায় সবগুলো সংরক্ষিত গজারি ও শাল বনে আগুন জ্বলতে দেখা যায়।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) সখীপুর উপজেলার বহেড়াতৈল রেঞ্জের আমতৈল, হতেয়া রেঞ্জের হতেয়া, বাঁশতৈল রেঞ্জের নলুয়া বিটের পাহাড়কাঞ্চনপুর, দেওদিঘী, ডিবি গজারিয়া বিটের দেওবাড়ী, এমএমচালা বিটের সেগুন বাগান, শাল-গজারি এবং সৃজিত বনের ভেতর আগুনের আলামত দেখা যায়।

পরিবেশবিদরা জানায়, ‘বনে এভাবে আগুন দেয়ার ফলে মানুষের যেমন ক্ষতি হচ্ছে তেমন ক্ষতি হচ্ছে পশুপাখিরও। বন্য অনেক প্রাণী এ আগুনের কারণে আশ্রয়স্থল হারাচ্ছে। বিলুপ্ত হচ্ছে বিভিন্ন ঔষধি গাছ। অথচ এর সাথে জড়িতদের চিহ্নিত বা আইনের আওতায় আনতে পারছেন না সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।’

বনবিভাগ সূত্রে জানায় গেছে, ‘সখীপুরের চারটি রেঞ্জের ১৩টি বিটের বিভিন্ন এলাকায় প্রায় ১৫ হাজার একর জমিতে শাল-গজারি বন রয়েছে। চৈত্রের প্রচণ্ড রোদে গাছের পাতা ঝরে পড়ে।’

স্থানীয়রা জানায়, ‘রাতের আঁধারে বা স্থানীয়দের দৃষ্টির আড়ালে কে বা কারা কী উদ্দেশে আগুন দিয়ে যায় জানেন না তারাও।’

তবে কেউ কেউ বলছেন, ‘লাকড়ি সংগ্রহের জন্যও আগুন দিতে পারে। অথবা মাদকসেবীরা বনের ভেতর দিয়ে নির্বিঘ্নে চলাচলের জন্যও আগুন দিতে পারে। কেউ কেউ মনে করছেন, সংরক্ষিত বনের জায়গা দখলের ইচ্ছায়ও আগুন দিতে পারে।’

বহেড়াতৈল রেঞ্জ কর্মকর্তা এ কে এম আমিনুর রহমান বলেন, ‘গত কয়েকদিনে বনের ১০-১২ স্থানে লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণ করেছি। দিনে আমি এবং আমার স্টাফরা পাহারা দেই। রাতের বেলায় কে বা কারা আগুন লাগায় তাদের ধরতে পাচ্ছি না। বনে আগুন না দেয়ার বিষয়ে স্থানীয়দের সচেতন করা হচ্ছে। আগুনের ঘটনায় জড়িতদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা হবে।

সংবাদ টি ভালো লাগলে শেয়ার করুন

এ বিভাগের আরো সংবাদ
©2024 All rights reserved
Design by: POPULAR HOST BD
themesba-lates1749691102
Verified by MonsterInsights