মধুপুরের প্রথম অনলাইন সংবাদপত্র

শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ০১:১৩ অপরাহ্ন

First Online Newspaper in Madhupur

শিরোনাম :
টাংগাইলে আজ কারফিউ সকাল ৭টা হতে সন্ধা ৭টা পর্যন্ত শিথিল কোরিয়ান শিক্ষার্থীদের মাভাবিপ্রবি পরিদর্শন টাংগাইলে কারফিউ শিথিল করায় জনজীবন স্বাভাবিক হয়েছে মির্জাপুরে বিয়ের দাবিতে আওয়ামী লীগ নেতার বাড়িতে কলেজছাত্রীর অবস্থান টাংগাইলে আন্দোলনকারীদের জ্বালাও-পোড়াও হামলা-ভাঙচুর মামলায় গ্রেপ্তার ১৭৫ কলম্বিয়াকে হারিয়ে কোপার সর্বোচ্চ ১৬ বার চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা ঘাটাইলের সাগরদীঘি ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ বাসাইলে বন্যা ও নদী ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ মির্জাপুরে সাবেক প্রেসিডেন্ট হুসাইন মুহাম্মদ এরশাদ এর ৫ম মৃত্যু বার্ষিকী পালন টাংগাইলে কোট সংস্কারের দাবিতে স্মারকলিপি প্রদান

কোরবানির ঈদকে ঘিরে ব্যস্ত সময় পার করছেন নাগরপুরের কামার শিল্পীরা

সংবাদ দাতার নাম
  • প্রকাশের সময় : রবিবার, ৯ জুন, ২০২৪
  • ৪১ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ টুং, টাং শব্দে মুখরিত নাগরপুর কামার পল্লী। এই শব্দই জানান দিচ্ছে মুসলমানদের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব ঈদুল আযহা সন্নিকটে। ঈদের আর মাত্র ৯ দিন বাকি। তাই কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে দিন-রাত সমান তালে ব্যস্ত সময় পার করছেন নাগরপুর সদর এলাকার কামার শিল্পীরা।

শুক্রবার (৭ জুন) নাগরপুর সদর কামার পল্লীতে সরেজমিনে গিয়ে এমন দৃশ্য দেখা গেছে। গত কয়েকদিন ধরেই তারা ভোর থেকে মাঝ রাত পর্যন্ত দা, ছুরি, বঁটি সহ অন্যান্য সরঞ্জাম তৈরি ও মেরামতের কাজ করছেন। সময় যত ঘনিয়ে আসছে বেচা-কেনাও বাড়ছে তাদের। শেষ মুহূর্তে দম ফেলার সময় নেই কামারদের।

কয়েকটি কামারের দোকানে গিয়ে দেখা যায়, প্রতি দোকানে ৩-৪ জন কর্মকার কোরবানির গরু কাটার সরঞ্জাম তৈরিতে ব্যস্ত। তাদের সাথে কথা বলে জানা যায়, পুরনো দা, বঁটি ধার দিতে মজুরি ১০০ টাকা থেকে ১২৫ টাকা। গরু জবাইয়ের ১৮ ইঞ্চি সাইজের বড় ছুরি তৈরি করতে খরচ হচ্ছে ১৮০০ টাকা থেকে ২০০০ টাকা, চাপাতি প্রতি পিস খরচ হচ্ছে ৮০০ টাকা থেকে ১০০০ টাকার মধ্যে। নিজ লোহা সরবরাহে মজুরি ৪০০ টাকা থেকে ৬০০ টাকা, প্রতি পিস বঁটি ৩০০ টাকা থেকে ৬০০ টাকা, দা ৪০০ টাকা থেকে ১২০০ টাকা। মিন্নত আলী নামে এক ক্রেতা বলেন, অন্যান্য বারের তুলনায় এ বছর কোরবানির গরু কাটার সরঞ্জামের দাম অনেক বেশি। গত বছর গরু জবাইয়ের বড় ছুরি ক্রয় করেছি ১৪০০ টাকা, এবার একই ছুরি বিক্রি হচ্ছে ২০০০ টাকায়। একাধিক কামার শিল্পীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সারা বছর দা, বঁটি, ছুরি, চাপাতি প্রভৃতি বিক্রি করে যে ব্যবসা হয়, তার চেয়ে কয়েকগুণ বেশি ব্যবসা হয় কোরবানির ঈদে। ব্যবসায়ী হীরা কর্মকার জানায়, এই কাজ তারা বংশানুক্রমে করে আসছেন। এ পেশায় বর্তমানে যারা রয়েছেন তারা বেশিরভাগই বাপ-দাদার ব্যবসাকে আঁকড়ে ধরে আছেন।

আকতার কর্মকার নামের এক ব্যবসায়ী জানান, কামার শিল্পীদের দৈনিক মজুরি ও লোহার দাম বেড়ে যাওয়ায় এ বছর কিছুটা বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে সরঞ্জাম। নাগরপুর কামার পট্টিতে প্রতিটি দোকানে এখন দৈনিক গড়ে ৩ থেকে ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। এই মৌসুমে প্রতি দোকান মালিক প্রায় লাখ টাকার মতো আয় করেন। আর কামার শিল্পীরা ৩০ থেকে ৫০ হাজার টাকা আয় করেন বলে জানা যায়। সারা বছর কামার শিল্পীদের ব্যস্ততা তেমন দেখা না গেলেও কোরবানির ঈদ এলে ব্যস্ততা বেড়ে যায় অনেক বেশি।

সংবাদ টি ভালো লাগলে শেয়ার করুন

এ বিভাগের আরো সংবাদ
©2024 All rights reserved
Design by: POPULAR HOST BD
themesba-lates1749691102
Verified by MonsterInsights