মধুপুরের প্রথম অনলাইন সংবাদপত্র

শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২:২৮ অপরাহ্ন

First Online Newspaper in Madhupur

শিরোনাম :
টাংগাইলে আজ কারফিউ সকাল ৭টা হতে সন্ধা ৭টা পর্যন্ত শিথিল কোরিয়ান শিক্ষার্থীদের মাভাবিপ্রবি পরিদর্শন টাংগাইলে কারফিউ শিথিল করায় জনজীবন স্বাভাবিক হয়েছে মির্জাপুরে বিয়ের দাবিতে আওয়ামী লীগ নেতার বাড়িতে কলেজছাত্রীর অবস্থান টাংগাইলে আন্দোলনকারীদের জ্বালাও-পোড়াও হামলা-ভাঙচুর মামলায় গ্রেপ্তার ১৭৫ কলম্বিয়াকে হারিয়ে কোপার সর্বোচ্চ ১৬ বার চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা ঘাটাইলের সাগরদীঘি ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ বাসাইলে বন্যা ও নদী ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ মির্জাপুরে সাবেক প্রেসিডেন্ট হুসাইন মুহাম্মদ এরশাদ এর ৫ম মৃত্যু বার্ষিকী পালন টাংগাইলে কোট সংস্কারের দাবিতে স্মারকলিপি প্রদান

যেভাবে রোজা রাখছেন দুই মুসলিম নারী স্বাস্থ্যকর্মী

সংবাদ দাতার নাম
  • প্রকাশের সময় : শুক্রবার, ৫ জুন, ২০২০
  • ২৫০ বার পড়া হয়েছে

কোভিড-১৯ প্রতিরোধে দুনিয়াজোড়া স্বাস্থ্যকর্মীরা প্রাণপণ লড়াই চালাচ্ছেন। কিন্তু পবিত্র রমজান মাসে যারা এই লড়াইয়ের পাশাপাশি রোজাও রাখছেন তাদের অবস্থা জানতে বিবিসি কথা বলেছে লন্ডন এবং নিউইয়র্কের দু’জন স্বাস্থ্যকর্মীর সঙ্গে এবং এক ভিডিও প্রতিবেদনে তুলে ধরা হয়েছে তাদের সারা দিনের অভিজ্ঞতা।

 

এদের একজন ডা. উজমা সাঈদ। তিনি একজন সংক্রামক ব্যধি বিশেষজ্ঞ।তিনি কাজ করেন নিউইয়র্কের এক হাসপাতালে। করোনা মহামারিতে সামনের কাতারে থেকে লড়াই করছেন এই চিকিৎসক। যেহেতু এটা রমজান মাস তাই তাকে রোজাও রাখতে হচ্ছে। সারাদিন হাসপাতালে ব্যস্ত থাকার কারণে সেভাবে কুরআন তেলওয়াত করার সুযোগ হয়ে উঠে না। তবে নিয়মিত নামাজ পড়েন এবং রোজা রাখছেন।

ডা. উজমা জানান, তিনি গাড়ি চালিয়ে কাজে যাবার সময় কুরআন তেলওয়াত শুনেন। স্বাস্থ্যকর্মী হওয়ার কারণে তাকে তার প্রতিবেশীরা নানাভাবে উৎসাহ দিয়ে তাকে। প্রতিবেশী স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য অনেক প্রশংসাবাণী দিয়ে সাইনবোর্ড সাজিয়ে রেখেছেন। তাদের এই সমর্থনে মন ভালো হয়ে যায় ডা. উজমার।

এদিকে আম্রান আলী একজন হেমাটোলজি নার্স। কাজ করেন মধ্য লন্ডনের এক হাসপাতালে। তিনি জানান, গত বছরের তুলনায় এবারের রমজান মাস একেবারেই আলাদা। মধ্য লন্ডনের এক চমৎকার ফ্লাটে তার থাকার ব্যবস্থা করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এখানে তিনি একাই থাকেন। এ কারণে তাকে একাই ইফতার করতে হয়। তার পরিবার খুব বড়। বাবা-মা, ভাই-বোন ছাড়াও আছেন দাদি এবং অন্যান্য আত্মীয়। ফলে ইফতারির সময় টেবিল খাবারে ভরে যায়। যদিও এখন একা থাকার কারণে সেইসব দিনগুলোকে খুব মিস করেন। তবে করোনা ঠেকাতে লকডাইনের কারণে এবারের পরিস্থিতি একেবারেই আলাদা। লন্ডনে সন্ধ্যার এই সময়ে সব মসজিদ বন্ধ। এই দুই স্বাস্থ্যকর্মী হাসপাতালেই নামাজ পড়েন এবং ইফতারিও করেন সেখানে।

আম্রান আলী ইফতার করেন হাসপাতালে। ইফতারের আগে তার মা তাকে ফোন করেন এবং ইফতারের কথা মনে করিয়ে দেন। এটা তিনি রোজই করেন। কিন্তু তার হাসপাতালে ইফতার করতে একটু ভালো লাগে না। কিন্তু সময় মতো ইফতার করা খুব জরুরি। তাই সামন্য কিছু মুখে দিয়ে ইফতার করে নেন। এজন্য কাজ থেকে দু মিনিটের ছোট্ট একটা ব্রেক নেন।

ডা. উজমা সাঈদ জানান, সাধারণত তিনি জায়নামাজেই নামাজ পড়েন। এতদিন ধরে সেটা তিনি বাড়ি থেকেই নিয়ে আসতেন। কিন্তু এবার করোনার কারণে বাড়ি থেকে জায়নামাজ আনা মানা। তাই তিনি চেয়ারে বসেই নামাজ আদায় করেন।

তাদের দুজনেরই কাজ শেষ করতে করতে রাত হয়ে যায়। ডা. উজমা সাঈদ জানান, মাস্ক ও পিপিই পরে থাকার কারণে তার বার বার পানির পিপাসা পায়। বিশেষ করে রোজার শেষভাগে, বিকালের দিকে। কিন্তু তিনি মনে করেন, রোজা রাখার কারণে আধ্যাত্মিকভাবে তারা আরও সবল হন। অনেক বেশি সচেতন হন এবং উদ্বেগও কমে আসে।

ইফতারের সময় বাড়ি থাকলে তাকে খুব ব্যস্ত থাকতে হয়। সময় মতো সব খাবার তৈরি করতে হয়। ফলে ঘড়ির কাটার সাথে পাল্লা দিয়ে চলতে হয়। কিন্তু হাসপাতালে সেসব ঝামেলা নেই। অত আয়েশ করে ইফতার করার সময় কোথায় এখানে। একটা কিছু মুখে দিয়ে রোজা খুললেই হলো।

সারাদিন কাজ করার পর রাতে বাড়ি ফেরেন আম্রানও। হাসপাতাল থেকে তার বাড়ি ১৫ মিনিটের হাঁটা পথ। কিন্তু এই সময়টুকু যেন ফুরোতে চায় না। খুব কঠিন মনে হয়। যেতে যেতে ভাবেন, কখন বাড়ি পৌঁছাবেন। বাড়ি ফিরেই বিছানায় ঝাঁপ দিবেন। কারণ সারাদিন রোজা রেখে হাসপাতালে তাকে প্রচুর পরিশ্রম করতে হয়। তাই বাড়ি ফিরে আর কিছু করার এনার্জি থাকে না, সোজা বিছানায়।

সূত্র: বিবিসি ভিডিও

এমএ/

সংবাদ টি ভালো লাগলে শেয়ার করুন

এ বিভাগের আরো সংবাদ
©2024 All rights reserved
Design by: POPULAR HOST BD
themesba-lates1749691102
Verified by MonsterInsights